জ্বালানি তেলের দাম আবার ৮০ ডলারের নিচে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আপডেট: ২০২৩-০১-০৬ ১৯:৫১:২০
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আবারও ৮০ ডলারের নিচে নেমেছে। আজ বিকেল পর্যন্ত অপরিশোধিত তেলের মানদণ্ড ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৭৮ দশমিক ৮২ ডলার। অর্থাৎ জ্বালানির দাম ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের পর্যায়ে নেমে এসেছে।
৩ জানুয়ারি ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৮৩ ডলার-গত এক মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। গত ৭ ডিসেম্বর ব্রেন্ট ক্রুডের দর ছিল ৭৭ ডলার। অর্থাৎ গত এক মাস ধরে জ্বালানির দর ৭৭ থেকে ৮৩ ডলারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ২০২৩ সালের বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশ মন্দার কবলে পড়বে, তারপর থেকেই জ্বালানির দর ৮৩ ডলার থেকে নামতে শুরু করে। অর্থাৎ বাজারে আবারও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
করোনার সময় অপরিশোধিত জ্বালানির দর ব্যারেলপ্রতি শূন্যের নিচে নেমে যায়। মূলত চাহিদা পড়ে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম এতটা পড়ে যায়। ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় যখন বিশ্বজুড়ে করোনার বিধিনিষেধ উঠে যায়, তখন থেকে জ্বালানির দাম বাড়তে শুরু করে। গত বছরের অক্টোবরের শেষ দিকে দুই ধরনের তেলের দাম ৮০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। সে সময় বাংলাদেশ সরকারও ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন ৮০ টাকা নির্ধারণ করে।
মূল বিষয় হচ্ছে চাহিদা ও সরবরাহ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো মন্দার কবলে পড়বে; অর্থাৎ ২০২০ সালের পর আবারও অর্থনৈতিক সংকোচনের মুখে পড়বে তারা। রাশিয়ার জ্বালানিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে উন্নত দেশগুলোতে জ্বালানির দাম অনেকটা বাড়তি। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মান সরকার বিপুল পরিমাণে জ্বালানি ভর্তুকি দিয়েছে, তাতেও মন্দার আশঙ্কা দূর করতে পারছে না তারা। সেই সঙ্গে আছে চীনের শূন্য কোভিড নীতি, যদিও সম্প্রতি তারা শূন্য কোভিড নীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।
এএ