ভোমরায় ছয় মাসে ১০৭ কোটি টাকার রসুন আমদানি

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০১-০৮ ১০:১০:০৪


সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ১০০ কোটি টাকার বেশি রসুন আমদানি হয়েছে। বাজারে চাহিদা ভালো থাকায় আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানীকৃত এসব রসুন ঢাকা-চট্টোগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে গত অর্থবছরের এ সময় ভারতে রফতানি বন্ধ রাখায় আমদানি হয়নি মসলাজাত পণ্যটি।

অন্যদিকে জেলার মসলা বাজারগুলোয় আমদানীকৃত রসুনের দাম বেড়েছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ভারতীয় রসুন ১৫-২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চায়না রসুন কেজিতে ২৫-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়তি।

এ বিষয়ে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) এ বন্দর দিয়ে রসুন আমদানি হয়েছে ৭ হাজার ২৭২ টন। যার আমদানি মূল্য ১০৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। তবে গত অর্থবছর এ সময় পণ্যটি আমদানি হয়নি।

ভোমরা স্থলবন্দরের অন্যতম মসলাপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, তার প্রতিষ্ঠান সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের মসলাপণ্য আমদানি করে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে রসুন, শুকনা মরিচ, শুকনা হলুদ ও জিরা। তবে দেশীয় বাজারে চাহিদা থাকায় রসুন আমদানি কিছুটা বেড়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ৩০-৩৫ ট্রাক রসুন আমদানি হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠানে। তবে ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত কোনো রসুন আমদানি হয়নি। কারণ ভারত সরকার ওই সময় পণ্যটির রফতানি বন্ধ রাখে।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের ডেপুটি সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান জানিয়েছেন, পেঁয়াজ ছাড়া সব ধরনের মসলাপণ্যে সরকারের রাজস্ব আসে উল্লেখযোগ্য হারে। ছয় মাসে রসুন আমদানিতে ৫ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে।