বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আমাতুল্লাহ বুশরা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুশরার চাচা মাজহারুল ইসলাম।
এর আগে রোববার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতার আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর তার আইনজীবী হাবিবুর রহমান চুন্নু জামিননামা দাখিল করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বুশরার পক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। এ সময় মামলার বাদী ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিন রানা উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে বাদী পক্ষের আইনজীবী শামীম হাসান জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার দিন ধার্য করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এ ঘটনায় আমাতুল্লাহ বুশরাসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পর গত ১০ নভেম্বর রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ মামলায় আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেছিলেন। রিমান্ড শেষে গত ১৬ নভেম্বর আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন। বর্তমানে ফারদিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলাটি তদন্তাধীন। আগামী ১৫ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এম জি