তেলের দাম ব্যারেলে ১০০ ডলার ছাড়ানোর সম্ভাবনা

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৩-০১-১২ ০৯:৫৭:২৬


মহামারি করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে দেয়া লকডাউনসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ শিথিল করছে চীন। জিরো কভিডনীতি থেকে এরই মধ্যে সরে এসেছে বৃহৎ অর্থনীতির এ দেশ। এছাড়া বিশ্বের প্রায় সব দেশই মহামারীর ধাক্কা সামলে উঠেছে। গতি ফিরেছে শিল্প খাতে। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে বলিষ্ঠ হচ্ছে জ্বালানি তেলের চাহিদা। চলতি বছর পণ্যটি ১০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হবে। আর বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম পৌঁছবে ব্যারেলপ্রতি ১০৫ ডলার। মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস সম্প্রতি এমনটা জানিয়েছে।

এক নোটে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা প্রতিদিন ২৭ লাখ ব্যারেল করে বাড়তে পারে। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বাজারে ফের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন এরই মধ্যে সীমান্ত খুলে দিয়েছে। বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির কোটা বেঁধে দেয়া হয়েছে বেসরকারি পরিশোধন কেন্দ্রগুলোকে, যা চীনে চাহিদা লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

তিন বছর বন্ধ রাখার পর চলতি সপ্তাহে সীমান্ত খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। এর পর পরই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৪ শতাংশ বেড়ে যায়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় অর্থনৈতিক মন্দার উদ্বেগ থাকলেও বাজার অংশীজনরা মনে করছেন আগামী দিনগুলোয় জ্বালানি তেলের চাহিদা আরো বাড়বে।

গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে, গত বছরের অক্টোবরে চাহিদা কমে যাওয়ার অজুহাতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস। তবে এ বছর শক্তিশালী চাহিদা প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশায় জোটটি উত্তোলন ফের বাড়াতে পারে। তবে চাহিদায় যদি প্রত্যাশার চেয়ে প্রবৃদ্ধি আসে বা কমে যায়, তাহলে ওপেক প্লাস অক্টোবরের চেয়ে বেশি মাত্রায় উত্তোলন কমাতে পারে। ওপেক প্লাসের সীমিত উত্তোলন দাম বাড়ার এ সম্ভাবনাকে কিছুটা ক্ষীণ করতে পারে।

বিনিয়োগ ব্যাংকটি গত মাসে জানায়, চীনের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম অন্তত ব্যারেলপ্রতি ১৫ ডলার বাড়তে পারে। দেশটিতে গড় চাহিদা বাড়তে পারে দিনে ১০ লাখ ব্যারেল করে।

এনজে