দেশে প্রথমবারের মতো চাষ করা হয়েছে রঙিন ফুলকপি। প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। চাহিদা বেশি হওয়ায় আগামী বছর আরও বড় পরিসরে রঙিন ফুলকপি চাষ করার আশা জানিয়েছেন কৃষকরা।
সাদা ফুলকপির সঙ্গে সচরাচর পরিচিত হলেও চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে এবারই প্রথম চাষ করা হয়েছে রঙিন ফুলকপির। তবে দেখে মনে হতে পারে সাদা ফুলকপির ওপর হলুদ রঙ করে দেয়া হয়েছে। মূলত হলুদ ও বেগুনি দুই ধরনের ফুলকপির চাষাবাদ হয়েছে এবার।
সীতাকুন্ডের ফৌজদারহাট সাঙ্গু এলাকায় ১২ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ১ হাজার ২০০ টি হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপির চারা লাগানো হয়। জামালপুরের একটি কৃষি খামার থেকে নিয়ে আসা হয় চারাগুলো। চারা লাগানোর ষাট থেকে সত্তর দিনের মধ্যেই বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠে কপিগুলো।
তবে রঙিন ফুলকপি চাষের পদ্ধতি সাদা ফুলকপির মতই। রঙিন ফুলকপির দাম বেশি জানিয়ে কৃষকরা বলেন, সাদার থেকে হলুদ ফুলকপির দাম অনেক বেশি। দাম বেশি হওয়ায় নতুন এই কপি চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।
এদিকে হলুদ ফুলকপি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুপর্ণা বড়ুয়া। তিনি বলেন, হলুদ ফুলকপির পেছনে ক্যারোটিনয়েড এর ভূমিকা রয়েছে। এটি ভিটামিন এ ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
এছাড়া বেগুনি ফুলকপি অ্যান্থোসায়ানিন থেকে বেগুনি রঙ পায়। যা রক্ত জমাট বাঁধা কমিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপি চাষে সফলতা পাওয়ায় আগামী বছর সীতাকুন্ডে ব্যাপক ভাবে হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপির চাষ করা হবে বলে জানিয়েছেন সীতাকুন্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ।
তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো সীতাকুন্ডে রঙিন ফুলকপির চাষ করা হয়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়াতে এর ফলন কেমন হবে দেখার জন্যই এবার এই দুই ধরনের ফুলকপি চাষ করা হয়।
সীতাকুন্ডে এবার ১৬০ হেক্টর জমিতে সাদা ফুলকপির চাষ হয়। তবে দাম বেশি হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে রঙিন ফুলকপির চাষ বাড়ানো হলে কৃষকরা আর্থিকভাবে আর বেশি লাভবান হবে বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
এএ