চুলপড়া রোধে করণীয়

আপডেট: ২০১৬-০৪-১১ ১৭:২৯:৩০


hairfallমলকি রাখা। অতিরিক্ত চুল পড়লে এর প্যাকও ব্যবহার করা যেতে পারে।

আপনি হয়তো আপনার ত্বকের প্রতি অতি যত্নশীল। কিন্তু সেভাবে চুলের প্রতি নন। আর এই অবহেলার কারণে মাথার চুল যে উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে তা হয়তো টেরই পাননি। পরক্ষণে যখন টের পেলেন তখন চিন্তার আর শেষ নেই। তবে এ নিয়ে আর চিন্তা করার দরকার নেই। ঘরোয়া পদ্ধতিতেই চুল পড়া প্রতিরোধ করা যাবে শতভাগ। নিচে চুলপড়া কীভাবে রোধ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হলো :

একাধিক তেলের মিশ্রণ : প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার ও বাইরের ধূলাবালির কারণে চুলে কিছু অপরিহার্য তেলের ঘাটতি দেখা যায়। অথচ এসব তেলই চুলে পুষ্টি যোগায়। ফলে পুষ্টির অভাবে চুল প্রাণশক্তি হারায় এবং পড়ে যায়। এ সমস্যা সমাধানে আপনি নারিকেল, জলপাই, বাদাম, তিল ও ভেন্নার তেল একত্রে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। যা বিভিন্ন ধরনের তেলের চাহিদা পূরণ করে চুলে পুষ্টি যোগাবে। নিমিষে চুল পড়াও বন্ধ হবে।

পেঁয়াজের রস : সালাদে পেঁয়াজ খেতে অনেকেই অপছন্দ করেন। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্য, চুল পড়া প্রতিরোধে সবচেয়ে সফল ঘরোয়া উপায় হচ্ছে পেঁয়াজের রস। রাতের বেলায় এর রস মাথায় ভালো করে লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন। সকালে তা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি যেমন চুল পড়া কমাবে, তেমনি নতুন চুল গজাতে, চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও স্থায়ী খুশকি দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

গ্রিন টি : এটি কেবল ওজন হ্রাসেই সহায়তা করে না, বরং চুল পড়া প্রতিরোধে ও চুলের বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। চুলে গ্রিন টি ব্যবহারের পদ্ধতিটি হচ্ছে এরকম- গরম পানিতে গ্রিন টি’র একটি ব্যাগ ডুবিয়ে রাখুন। তারপর তা ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তা চুলে ব্যবহার করুন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই চুল পড়া উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।

আমলকি খান : আমলকি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি উপাদানে সমৃদ্ধ। যা চুল পড়া প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। তাই এ সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হচ্ছে প্রতিদিন খাবারে আ

জাম পাতা : যদি ভাবেন যে, জাম পাতা শুধু ভারতীয় খাবারে বাড়তি স্বাদ সৃষ্টি করে তাহলে ভুল করবেন। জাম পাতা চুল পড়া প্রতিরোধেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। জাম পাতা যে পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যায়- কিছু জাম পাতা সামান্য নারিকেল তেলের সঙ্গে মেশাতে হবে। তারপর এ উপাদান দুটি গরম করে মাথায় মাখতে হবে।