শুরুতে ঢাকা ডমিনেটরস গড়তে পারলো না খুব বড় সংগ্রহ। উদ্বোধনী জুটিতে রান এলো না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সেরও।
এরপর দলের হয়ে হাল ধরলেন আফিফ হোসেন। তিনি অপরাজিত থাকলেন শেষ অবধি। শুরুতে কিছুটা ধীরে রান তোলা দরউইশ রাসূলিও ঝড় তুললেন পরে। এক ম্যাচ পর জয়ে ফিরলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
শনিবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকাকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে তারা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান করে ঢাকা। জবাব দিতে নেমে জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ১৪ বল আগে ম্যাচ জেতে চট্টগ্রাম।
ম্যাচটিতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় ঢাকা। আগে ব্যাট করতে নেমে দলকে দুই ওপেনার উসমান ও মিজানুর এনে দেন ৬০ রানের জুটি। তবে মিজানুর মন্থর গতিতে রান তোলায় কাঙ্ক্ষিত গতি পায়নি তাদের ঢাকার ইনিংস।
৩৩ বলের মোকাবিলায় ৩ চারে ২৮ রান করে মিজানুর বিদায় নিলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। অন্যদিকে উসমান দলকে ৭৯ রানে রেখে বিদায় নিলেও ৩৩ বলে খেলেন ২ চার ও চার ছয়ে সাজানো ৪৭ রানের দারুণ এক ইনিংস। দুজনকেই বিদায় করেছেন চট্টগ্রামের বোলার নাহিদুজ্জামান। এর মধ্যে আফগান ব্যাটার উসমান হয়েছেন কট অ্যান্ড বোল্ড।
দুই ওপেনার ভালো করলেও টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার সৌম্য সরকার ফিরেছেন মাত্র ৪ রান করেই। এরপর দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার হতেই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মিথুন আলীও বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৯ রানে। চাপের মুখে হাল ধরেন নাসির। ১৮তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ঢাকার অধিনায়ক খেলেন ২২ বলে ৪ চারে সাজানো ৩০ রানের ইনিংস। শেষদিকে ঢাকার রানের চাকা সচল রাখেন আরিফুল হক। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া এই ব্যাটার ১৮ বলে করেছেন ২৯ রান।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরত যান উদ্বোধনী ব্যাটার আল আমিন। তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। এরপর আফিফ হোসেনের সঙ্গে জুটি গড়েন উসমান খান। তাদের দুজনের ব্যাটে আসে ৫৫ রান।
আমির হামজার হাতে ক্যাচ দিয়ে আরাফাত সানির বলে আউট হন উসমান। ৩ চারে ২১ বলে ২২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। উসমান ফিরলেও আফিফ তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তার সঙ্গী হন দরউইশ রাসূলি। এই ব্যাটার শুরুতে ছিলেন ধীরস্থির। প্রথম ২৫ বলে ১৯ রান করেছিলেন তিনি।
২৪ বলে চট্টগ্রামের দরকার ছিল ৩৯ রান, ম্যাচ তাদের জন্য হয়ে গিয়েছিল কিছুটা কঠিন। পরে আল আমিন হোসেনের এক ওভারেই ২৪ রান আসে, এর মধ্যে কেবল এক রান নেন আফিফ, বাকি সব রাসূলির। এই ব্যাটার শেষ অবধি ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৩ বলে অপরাজিত থাকেন ৫৬ রানে। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫২ বলে ৬৯ রান আসে আফিফের ব্যাটে। ১৪ বল আগেই ম্যাচ জিতে নেয় চট্টগ্রাম।
এএ