জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কতৃক আয়োজিত নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে (জাবি) বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের আমন্ত্রন জানিয়ে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে বাধাঁ দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। সোমবার (১১ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫টায় ছাত্রলীগের নবীন বরন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি বেলাল হোসাইনের নেতৃত্বে সাংবাদিকরা নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবেশের সময় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ ও আল-বেরুনি হল সভাপতি মোহাব্বত আমিন শিশির ৪০ ব্যাচের সাংবাদিক ব্যতিত অন্যদেরকে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অধিকাংশ সাংবাদিকরা ৪১,৪২,৪৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানের কয়েকদিন পূর্বে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত দাওয়াত পত্রের মাধ্যমে সাংবাদিক সমিতির সকল সদস্যকে অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এ বিষয়ে আরিফুল ইসলাম আরিফকে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।
অন্যদিকে ৪০ তম আবর্তনের এক সাংবাদিক মঞ্চে ওঠে ছবি তুলতে গেলে আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভূইয়া মোহাম্মদ এনামুল হাসান নোলক তাকে লাঞ্ছিত করেন। এ বিষয়ে এনামুল হাসান নোলক বলেন, মঞ্চে অনেক ভিড় ছিল বিধায় তাকে আমি সরে যেতে বলি।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনিকে ফোন করলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৫ জুলাই আল বেরুনী হলের ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিপক্ষের কর্মীদের হলের চারতলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আজীবন বহিস্কার করে এবং আশুলিয়া থানায় তার নাম উল্লেখ করে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়। এছাড়া আরিফের বিরুদ্ধে ২১ ফেব্রুয়ারিতে ফুল দিতে গিয়ে জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেঁধিতে উঠা ও বান্ধবীকে নিয়ে হলের ক্যান্টিনে ফাঁও খাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আরিফের অনুসারীদের বিরুদ্ধে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক লাঞ্ছনা, হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের রুম থেকে বের করে দেওয়া এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাস আটকানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।