কেজিতে ৮০-১০০ টাকা বেড়েছে আদা-রসুনের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০১-১৭ ১২:৩৪:২৬


আমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশে আদা-রসুনের চাহিদা মেটানো হয়।বাজারটি মূলত নিয়ন্ত্রণ করেন চীনের সরবরাহকারীরা। সম্প্রতি বিভিন্ন নিত্যপণ্যের মতো আদা-রসুনের বাজারেও সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে। যার কারণে জরুরি এ দুটি মসলার দাম বেড়ে গেছে অস্বাভাবিক হারে। ১০ দিনের ব্যবধানে নিত্যপণ্য দুটির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৮০-১০০ টাকা।

নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক মাস ধরে তারা ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। এতে পণ্যে সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বেশ অনেক দিন ধরেই আদা-রসুন আমদানিতে লোকসান দিচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি আমদানি কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাজারে চীনা আদা ও রসুনের সংকট দেখা দিয়েছে। আর যেসব প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে আমদানি করেছে তারা বাড়তি দামে এসব পণ্য বিক্রি করছে। যার কারণে পাইকারি বাজারে ১০ দিন আগে আদা কেজিপ্রতি ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে ১৯০-২০০ টাকায় উঠে গেছে। একইভাবে ৭০-৭৫ টাকা কেজি দরের চীনা রসুনের দাম বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, চীনা আদা-রসুনের সরবরাহে সংকট থাকলেও দেশী আদা-রসুনের সরবরাহ স্বাভাবিক। কিন্তু আমদানীকৃত আদা-রসুনের আকার বড় হওয়ায় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। যার কারণে দেশী আদা-রসুনের দাম কম হলেও চীনা আদা-রসুনের দাম প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে। এর মধ্যে পাইকারি পর্যায়ে দেশীয় আদা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০-১১০ টাকায়। চীনা আদার সংকটে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। পাইকারি পর্যায়ে কেজিপ্রতি চীনা রসুন ১৫০-১৬০ টাকায় লেনদেন হলেও দেশী রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। দেশী রসুনের দাম কম হলেও চাহিদা কম।

এনজে