বাঙালির চিরায়ত উৎসব পহেলা বৈশাখ। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বরিশালে আয়োজনের কমতি নেই। বৈশাখ আর ইলিশ প্রজনন মওসুম একই সময়ে পড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
এবার পহেলা বৈশাখ উদযাপনে পান্তার সঙ্গে রাখা হচ্ছে না রূপালি ইলিশ। জেলা প্রশাসনের আয়োজনের খাবার তালিকায় থাকছে পান্তা ও ভর্তা। এমনটাই জানালেন বরিশাল জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান।
জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে পান্ত-ইলিশ খাওয়াটা হলো বাঙালির আদি সংস্কৃতি। কিন্তু ইলিশের প্রজনন মওসুমে এ সংস্কৃতি ধরে রাখতে গেলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সকল বিষয় বিবেচনা করে এবার বৈশাখে পান্তার সাথে ইলিশ বাদ দেয়া হয়েছে। তবে পান্তার সঙ্গে পোড়া মরিচসহ নানা ধরণের ভর্তা থাকছে।’
অবশ্য এর আগে গত ৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) কর্তৃপক্ষও এবারের নববর্ষে ইলিশ খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ববির কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক ইলিশ নিষিদ্ধের কারণ হিসেবে নানা দিক তুলে ধরেন।
এ বিষয়টি সংবাদপত্রের শিরোনাম হওয়ার পরে দেশের বিভিন্ন জেলার সরকারি দায়িত্বশীল মহল থেকেও এবার পহেলা বৈশাখে ইলিশ বর্জনের ঘোষণা আসে।
এদিকে পহেলা বৈশাখে পান্ত-ইলিশ খাওয়ার আদি সংস্কৃতিতে না থাকার ঘোষণা দিয়েছে বরিশালের সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও।
বরিশালের সাংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব কাজল ঘোষ বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে ইলিশ খাওয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই। তাই তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এবার বৈশাখ আয়োজনে ইলিশ রাখা হয়নি। তবে পান্তার সঙ্গে কাঁচা মরিচসহ নানা ধরনের ভর্তা থাকছে।’
সানবিডি/ঢাকা/বিএম/এসএস