বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দশ মাসে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৯.৪০ বিলিয়ন ডলার।
ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুসারে, আলোচ্য সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্ব বাজার থেকে ৮৬.৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে ১৯.৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। আগের বছর একই সময়ে বিশ্ববাজার থেকে আমদানি করেছিল ৬৯.৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছিল ১৩.৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক। সে হিসেবে, আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে বিশ্ব বাজার থেকে ২৪.৪১ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে ৪১.৭৬ শতাংশ আমদানি বাড়িয়েছে। পোশাক আমদানিতে ইইউ’র দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসের স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
এদিকে, চীন ২৯.৩৯ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় পোশাক সরবরাহকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২২ সালের প্রথম দশ মাসে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বেড়েছে ২২.৪৩ শতাংশ। এ সময় চীন থেকে ২৫.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে ইইউ। আলোচ্য সময় তুরস্ক থেকে আমদানি ১২.৮২ শতাংশ বাড়িযেছে, যার ফলে এ সময় তুরস্ক ১০.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।
আলোচ্য সময়ে ইইউ ভারত থেকে আমদানি বাড়িয়েছে ২৩.৪৬ শতাংশ। এ সময় ভারত থেকে ইইউ পোশাক আমদানি করেছে ৪.২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের বছর একই সময়ে আমদানি করেছিল ৩.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক।
ইইউতে অন্যান্য শীর্ষ সরবরাহকারীদের মধ্যে কম্বোডিয়া ৩৯.৬৯ শতাংশ, ভিয়েতনাম ৩৩.০৫ শতাংশ, পাকিস্তান ২৮.৫৫, মরক্কো ৯.৫৯, শ্রীলঙ্কা ১৮ এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩১.৭৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা ইউরোপে অনেক বেশি। সেজন্য অন্যান্য দেশের চেয়ে বাণিজ্য ঘাটতি আমাদের অনেক কম। ইউরোস্ট্যাটের প্রতিবেদন অনুযায়ী অক্টোবর পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি বাড়লেও পরবর্তীতে ইউরোপের আমদানি সব দেশ থেকেই কমেছে। এর অন্যতম কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
তিনি বলেন, ডিসেম্বর-জানুয়ারি দিকে ইউরোপের আমদানি কমায় সব দেশেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে এই সময়ও আমরা অন্যদের চেয়ে ভালো করবো বলে আশা করছি।
এএ