বগুড়ার শেরপুরে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুত করা প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টন ধান ও চাল উদ্ধার করেছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন বলেন, শেরপুরের শফিকুল ইসলাম (শিরু) অটোরাইচ মিল ও গুদাম ভাড়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ধান-চালের ব্যবসা করে আসছেন। এখানে এসিআই কোম্পানির ধান-চাল অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বেলা ১২টা থেকে ইন্ডাস্ট্রির মিল ও গুদামে অভিযান চালানো হয়।
এছাড়া অভিযানে অনুমোদনহীন ওই প্রতিষ্ঠানে ২ হাজার ৫৮০ টনের বেশি ধান ও ১ হাজার ৯০০ টন চাল মজুত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে কর্মকর্তারা আরও জানান, গুদাম ও মিলে থাকা ধান-চাল মজুতের কোনো অনুমতি নেই এসিআই কোম্পানির৷ অবৈধভাবে ধান-চাল মজুতের অভিযোগে কয়েক মাস আগেও এই প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এছাড়া আজকের এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মামলার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
তবে এসিআই বগুড়া জোনের সিনিয়র কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধান ও চাল মজুতের সরকারি অনুমতি আছে তাদের।
এরআগে অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদের অভিযোগে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর বগুড়ার সদর উপজেলার মানিকচক এলাকায় মেঘনা গ্রুপের ২ হাজার ৫০০ টন ধান জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে বগুড়া সদর থানায় মেঘনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে মামলা করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা।
এএ