নাটোরে স্কুল থেকে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের প্রায় ১৩ বছর পর এক তরুণের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই দণ্ডাদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় নাটোরের লালপুর উপজেলার কুজিপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়। ওই দিন রাতেই ওই ছাত্রীর ভাই বাদি হয়ে তার অপহৃত বোনের বান্ধবী ও তার ভাই রনি আহম্মেদসহ (২০) চারজনের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করেন। দুই দিন পর পুলিশ অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে সে আদালতে জবানবন্দি দেয় যে, তাকে সীমান্তবর্তী একটি স্থানে আটক করে রাখা হয়েছিল। ঘটনাটি তদন্ত করে লালপুর থানার উপ পরিদর্শক জামাত আলী ২০১০ সালের ৫ এপ্রিল শুধু রনি আহম্মেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে মামলাটি ট্রাইব্যুনালে আসে বিচারের জন্য। ছয় জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য প্রদান করেন। কিন্তু রনি আহম্মেদ জামিনে গিয়ে পলাতক হন।
সাক্ষ্য প্রমাণে অপহরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ঘটনার প্রায় ১৩ বছর পর আসামির অনুপস্থিতিতে আদালত রনি আহম্মেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন। অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীকে দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। দণ্ডিত রনি আহম্মেদ নাটোরের লালপুর উপজেলার কুজিপুকুর গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পেশকার সাইফুল ইসলাম দণ্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনিছুর রহমান জানান, অভিযুক্ত আসামি পলাতক হওয়ার মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেননি।
এম জি