বাংলা নববর্ষ বরণকে ঘিরে বাগান থেকে গোলাপ ফুল তোলার মহোৎসব চলছে। কক্সবাজারের চকরিয়া বরইতলী ও হারবাং ইউনিয়নে এখন গোলাপের দেশ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। এখানে ভিড় জমিয়েছে ফুল ব্যবসায়িরা। ওই দুই এলাকায় প্রায় ২০০ একর জমিতে চাষ হয়েছে গোলাপ ও হরেক রকমের ফুল।
প্রথমদিকে এখানে কেউ কেউ শখের বসে ফুল চাষ করেছিল। কিন্তু এখন জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। এ চাষে বেশ সফলতাও পেয়েছেন তাঁরা। এবারের বৈশাখে ৩ কোটি টাকার ফুল বিক্রির টার্গেট নিয়েছেন। প্রতিবছর ফুল বিক্রি করে বাগান মালিকদের আয় হয় প্রায় ১০ কোটি টাকা।
স্থানীয় চাষি ও বাগান মালিকরা জানিয়েছেন, হিসাব মতে চাষের মাধ্যমে বছরে ফুল বিক্রি করে প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো আয় হয়। বেশি চাহিদা রয়েছে গোলাপের। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় ফুল সরবরাহ হচ্ছে চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহত্তম ফুলের বাজার চেরাগী পাহাড়ে। বর্তমানে আয়ের একমাত্র অবলম্বন হিসেবে ফুল চাষেই ঝুঁকে পড়েছেন অনেকেই।
চাষি সরওয়ার আলম বলেন, ফুলের গ্রাম হিসেবে পরিচিতি বরইতলী ও হারবাং ইউনিয়ন। প্রায় এক যুগ ধরে এখানে ফুলের চাষ হয়ে আসছে। এখন প্রায় ২০০ একর জমিতে গোলাপ, গ্যাডিওলাস ও রজনীগন্ধাসহ হরেক রকমের ফুলের চাষ হচ্ছে। এরই মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামে ফুলের গ্রাম হিসেবে এ জনপদের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। তিনিও জমিতে গোলাপের চাষ করেছেন।
বাগান মালিক ফরিদুল আলম বলেন, দুই উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক বাগান রয়েছে। বৈশাখ উপলক্ষে এসব বাগান থেকে তাঁরা দুদিনে প্রায় দুই লাখ পিস গোলাপ ফুল বিক্রি করেছেন। প্রতি হাজার গোলাপ ফুল ৮ শত থেকে এক হাজার টাকা ধরে বিক্রি করেন তাঁরা। বাগানের বেশির ভাগ ফুল চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সরবরাহ হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এমনিতেই ফুলের ব্যাপক কদর রয়েছে জাতীয় দিবসগুলোতে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ে উপপরিচালক আকম শাহারীয়ার জানান, পরিবেশ বিধ্বংসী তামাক চাষের বদলে চাষিরা গোলাপ চাষ করে রীতিমতো বাজিমাত করেছেন। এলাকার চাষিরা এখন ফুল বিক্রি করে বেশ স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। কৃষি অফিস থেকে তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
সানবিডি/ঢাকা/শাহজাহান/আহো