আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সুইজারল্যান্ডের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ডের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন তদারকি করতে আসবে এবং তারা স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করবে। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন, এর ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম গণমানুষ থেকে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল যার ভিত্তি তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্ম সেনানিবাস থেকে। এই দল দুটির প্রধান প্রথমে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রপতি হন, পরে তারা তাদের রাজনৈতিক দল গঠন করেন। জনগণের মধ্যে তাদের কোনো ভিত্তি নেই।
এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল। জনগণের মধ্যে তাদেরও কোনো ভিত্তি নেই বলে জানান সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের ব্যাপক রূপান্তর ঘটিয়েছে। আগামী নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে সরকার গঠন করবে।
রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশের জন্য বোঝা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সব পশ্চিমা দেশকে মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে সমর্থন প্রসারিত করতে হবে।
বৈঠকে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে এবং তার দেশ মসৃণ উত্তরণে বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
সূত্র: বাসস