প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহে সুবাতাস অব্যাহত রয়েছে। চলতি জানুয়ারি মাসে এ পর্যন্ত ১৫৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই অর্থ পাঠান তাঁরা। গত ডিসেম্বর মাসে দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছিল ১৬৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সুতরাং জানুয়ারির বাকি সাত দিনের প্রবাসী আয় ডিসেম্বর মাসকে ছাড়িয়ে যাবে বলে ব্যাংকাররা মনে করছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডলার-সংকটের মধ্যে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্যে স্বস্তি বোধ করেছেন ব্যাংকাররা। কারণ, ডলার-সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো ঋণপত্র (এলসি) খোলা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে অনেক ব্যবসায়ীই রমজানের নিত্যপণ্য আনার জন্য ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। এদিকে ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি করা পণ্যের দাম বেড়ে গেছে, যার প্রভাবে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত বছরের জানুয়ারিতে ডলারের দাম ছিল ৮৬ টাকা, যা বেড়ে এখন ১০৬ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ এক বছরে ডলারের দাম প্রায় ২০ টাকা বেড়েছে।
প্রবাসীদের পাঠানো প্রতি ডলারের জন্য ১০৭ টাকা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। আর রপ্তানি আয় নগদায়ন হচ্ছে ১০২ টাকা দামে। বাংলাদেশ ব্যাংকও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত থেকে ডলার বিক্রি করছে ১০২ টাকায়। ফলে আমদানিতে ডলারের দাম পড়ছে ১০৫-১০৬ টাকা।
এএ