বাগেরহাটের মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি-১ কারখানায় লাগা আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বাড়ানো হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের আরও পাঁচটি ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মোংলা ইপিজেড ভিআইপি কারখানায় ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মোংলা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আরদেশ আলী বলেন, ভিআইপি নামক প্রতিষ্ঠানের কারখানায় প্লাস্টিক, ক্যামিকেলসহ বিভিন্ন পণ্য থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। বিকেল সাড়ে ৩টায় অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে রামপাল, ফকিরহাট ও বাগেরহাট থেকে চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যুক্ত হয়। পরবর্তীতে খুলনা থেকে আসা আরও পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কতক্ষণে নিয়ন্ত্রণে আসবে বলা যাচ্ছে না। আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় নিয়ন্ত্রণে সময় লাগতে পারে।
ইপিজেডের ভিআইপি কোম্পানির কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, আগুনের ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে তাদের কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক বলেন, ইপিজেডে ভিআইপি প্রতিষ্ঠানের ১ নম্বর কারখানায় বিকেলে হঠাৎ করে আগুন লাগে। এ কারখানায় কোম্পানিটির ফ্রেব্রিক্স ছিল। তবে অগ্নিকাণ্ডের সময় দ্রুত সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা বেরিয়ে পড়েন। কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত করতে না পারলেও এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আই এইচ