গ্রীষ্মকালের প্রচন্ড গরমে আপনার ঘরকে ঠাণ্ডা রাখা প্রয়োজন। কারণ এই গ্রীষ্মের জলন্ত সূর্যের কারণে ঘেমে একাকার হয়ে যায় মানুষ এবং রাত্রিটাও হয়ে উঠে অস্বস্তিকর। সবার পক্ষে এয়ারকন্ডিশনার লাগানো সম্ভব নয়। তাই এয়ারকন্ডিশনার ছাড়াই ঘরকে কী করে শীতল রাখা যায় সেই উপায় জানাটা প্রয়োজনীয়। চলুন তাহলে জেনে নেই এসি ছাড়াও ঘর ঠাণ্ডা রাখার কৌশল।
১। পূর্ব ও পশ্চিমের জানালাগুলোতে ছায়া প্রদানের জন্য সানশেড বা ছাউনির ব্যবস্থা করুন। তাপ উৎপন্ন করতে পারে, বিকেলের দিকে এমন কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকুন।
২। আপনার গৃহের কোন অংশটিতে সবচেয়ে বেশি বাতাস আসা যাওয়া করে তা লক্ষ্য করুন। কোন দিক দিয়ে বাতাস বেশি আসে তা চিহ্নিত করুন। তাহলে আপনি সেই অংশের জানালা খোলা রাখতে পারবেন। এর ফলে সূর্যাস্তের পরেও আপনার ঘরে বাতাস আসা যাওয়া করবে।
৩। ঘরের জানালা খোলা রাখুন তবে দিনের বেলায় নয় রাতের বেলায়। গ্রীষ্মকালে দিনের বেলায় গরম বাতাস বয়। কিন্তু সূর্যাস্তের পরে তাপমাত্রা কমতে থাকে, ঠাণ্ডা বাতাস বয় এবং মাঝে মাঝে ঝড়বৃষ্টিও হয়। তাই সন্ধ্যায় আপনার ঘরের জানালাগুলো খুলে দিন।
৪। বিছানার চাদর হিসেবে সাদা লিনেন কাপড় ব্যবহার করুন। বিছানার চাদর মোটা ও কারুকাজ থাকলে ঘাম বেশি হয়। সাদা ও হালকা রঙের কাপড় তাপ শোষণ করেনা বরং প্রতিফলিত করে। তাছাড়া হালকা রঙ ঘরে শীতল প্রভাব ফেলে।
৫। আপনার গৃহকে শীতল রাখার জন্য ঘরের চারপাশে গাছপালা লাগান। ছায়া দিতে পারে এমন গাছ পূর্ব-পশ্চিমে লাগালে আপনার গৃহে সূর্যের তাপ আলোকে প্রতিহত করবে। ঘরের চারপাশে ঘাস ও ঘাস জাতীয় গাছ থাকলে ঘরকে শীতল রাখে।
৬। ছাদের সাদা রঙ ঘরকে শীতল রাখে। সাদা রঙ আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মিকে প্রতিহত করে প্রাকৃতিকভাবে ঘরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই মানুষ এখন ঘরের ছাদে সাদা রঙের পেইন্টিং করে।
৭। এক বোল বরফের টুকরো নিয়ে ফ্যানের নীচে রেখে ফ্যান চালু করুন। কিছুক্ষণ পর বরফগুলো যখন গলতে শুরু করবে তখন বাতাস এই শীতল পানি শোষণ করবে ও ছড়িয়ে দিবে। এর ফলে আপনার ঘর ঠান্ডা হবে।
৮। আপনিকি জানেন কি ঋতুভেদে আপনার সিলিং ফ্যানটিকে এডজাস্ট করে নিতে হয়? হ্যাঁ গ্রীষ্মের সময় যদি ফ্যানের কাঁটা বা পাখাগুলোকে বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে দেয়া হয় তাহলে ফ্যানের গতি বৃদ্ধি পায়।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস