সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্ব পালনে প্যাকেজ ঘোষণা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন হজ্ব এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার খরচ বিষয়ে হাব সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, হাব বেসরকারি হজ প্যাকেজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করবে। যেহেতু মোয়াল্লেম চার ক্যাটাগরির (এ, বি, সি, ডি), আমরা চার ক্যাটাগরির মোয়াল্লেম দিয়ে কাস্টম মেইড প্যাকেজ দিয়ে থাকি। আমরা আগামীকাল একটি বা দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করবো। সেখানে কোন কোন খাতে খরচ হবে, সেখানে বিস্তারিত তুলে ধরবো। মোয়াল্লেম কোনটা সিলেক্ট করবো সেই বিষয়ে বিস্তারিত বলবো।
বিমানভাড়া নিয়ে হাব সভাপতি বলেন, হজযাত্রীদের যে বিমানভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে, আমার মতে তা আরও কম হওয়া উচিত ছিল, আরও সহনীয় পর্যায়ে থাকা উচিত ছিল। আমি মনে করি হজযাত্রীদের বিমানভাড়া নির্ধারণ করার এখতিয়ার যদি শুধু বিমান সংস্থাগুলোর ওপর নির্ভর করে, তারা বাণিজ্যিক সংগঠন। তারা নিজেরাই যদি নিজেদের ভাড়া নির্ধারণ করে- তাহলে এটা ন্যায় হলো না। হজযাত্রী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি ধারণা আছে প্রতিবছর বোধহয় ভাড়া বেশি নেয়া হয়। এ ধারণা কেন থাকবে।
তিনি বলেন, বিমানভাড়া নির্ধারণের জন্য যদি একটি টেকনিক্যাল কমিটি করা হতো, যে কমিটি এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে ভালো জানে। তারা ভাড়া নির্ধারণে সুপারিশ করলে, কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকতো না। তাই আমি মনে করি বিমানভাড়া সঠিক হয়নি, এটি কমতে পারতো।
এর আগে চলতি বছর হজে যেতে সরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। সরকারিভাবে গত বছর দুটি থাকলেও এবার ঘোষিত একটি প্যাকেজ অনুযায়ী, হজযাত্রায় প্রত্যেক হজযাত্রীর ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা ব্যয় হবে। গত বছরের তুলনায় খরচ সর্বোচ্চ এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা বেড়েছে।
আই এইচ