যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন একটি নতুন সামরিক চুক্তিতে সই করেছে, যা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও স্বাধীনতা রক্ষা করবে। দেশ দুইটির পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়েছে।
তবে এই চুক্তির মূল বিষয় হলো ফিলিপাইনের চারটি সামরিক ঘাঁটি থেকে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ানের আশেপাশে চীনা তৎপরতার ওপর নজরদারি করতে সক্ষম হবে।
উত্তরে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান থেকে দক্ষিণে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত মার্কিন-নেতৃত্বাধীন জোট যে চীনবিরোধী বলয় সৃষ্টির চেষ্টা করছে তাতে একমাত্র ফাঁক ছিল ফিলিপাইন। চীন ও মার্কিন বাহিনীর মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাতের দুটি সম্ভাব্য ফ্ল্যাশপয়েন্ট তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর। সীমান্তে রয়েছে ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ।
এখন এই চুক্তির মাধ্যমে ফিলিপাইনের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে মার্কিন সৈন্যদের আরও বেশি করে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে এবং গত তিন দশকের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো বিপুল সংখ্যক আমেরিকান সৈন্য তাদের ফ্ল্যাশ-পয়েন্ট উপনিবেশ ফিলিপাইনে ফিরে আসবে।
দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন জায়গায় কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে চীন তার নৌপথ সুরক্ষিত রাখতে চাইছে। এর প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চুক্তিটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
ওয়াশিংটনে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কর্মসূচির পরিচালক গ্রেগরি বি পোলিং বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে এমন কোনো পরিস্থিতি নেই, যার জন্য ফিলিপাইনে প্রবেশের প্রয়োজন হবে না।
এনহ্যান্সড ডিফেন্স কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট বা ইডিসিএ চুক্তির আওতায় ফিলিপাইনের পাঁচটি ঘাঁটিতে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সীমিত সংখ্যক প্রবেশাধিকার রয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বৃহস্পতিবার ম্যানিলায় ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ ‘বংবং’ মার্কোস জুনিয়রের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
ফিলিপাইনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘাঁটি কোথায় হবে তা জানা যায়নি, তবে এর মধ্যে তিনটি ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ লুজনে হতে পারে।