নতুন বছরের শুরু দিকেই দেশের চারটি প্রতিষ্ঠান সবুজ কারখানা বা গ্রিন ফ্যাক্টরির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৭টি কারখানা এই স্বীকৃতি পেলো। সবশেষ ‘লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি)’ সনদটি পেয়েছে কেডিএস আইডিআর লিমিটেড।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিজিএমইএ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে জেএল ফ্যাশন ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লাটিনাম সনদ পায়। এই কারখানাটি গাজীপুর সদর ভবানীপুরে অবস্থিত। অন্যদিকে একই সময়ে জেকেএল কারখানাও গ্রিন ফ্যাক্টরির সনদ পায়। এটি চট্টগ্রামের কালুরঘাটে অবস্থিত। বিভিন্ন সূচকে কারখানাটির অর্জিত পয়েন্ট ৮৪। এছাড়া গত ২২ জানুয়ারি আমানত শাহ ফেব্রিকস ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে গোল্ড সনদ অর্জন করে।
দেশে এই সনদ পাওয়া সবুজ কারখানার মধ্যে রয়েছে প্লাটিনাম ৬৩টি, গোল্ড ১১০টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড চারটি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ‘ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল’ এ সনদ দেয়। বাণিজ্যিক ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনার ক্ষেত্রেও সনদ দেয় সংস্থাটি। তবে শিল্প কারখানার ভবন নির্মাণ থেকে পণ্য উৎপাদন পর্যন্ত সব পর্যায়ে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি বিশ্লেষণ করে সর্বোচ্চ মানের কারখানাকে এ সনদ দেওয়া হয়।
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, সবুজ কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গায়ে গ্রিন ট্যাগ সংযুক্ত থাকে। অর্থাৎ পণ্যটি সবুজ কারখানায় উৎপাদিত। বিশ্ব বাজারে ক্রেতার কাছেও আলাদা কদর রয়েছে এর। এতে বিদেশি ব্র্যান্ড এবং ক্রেতার কাছে আস্থা বাড়ে। উৎপাদিত পণ্য নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতেও এগিয়ে থাকা যায়। মূল কথা হলো এ সনদ দেশ ও পোশাকখাতের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়াতে সহায়তা করে।
এএ