মাত্র এক মাসের ব্যবধানে আবারও ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়ে সিলেট বিভাগ। এ বিভাগের প্রায় ৮০ শতাংশ জায়গা পানিতে তলিয়ে যায়। চারটি জেলার মধ্যে সুনামগঞ্জ ও সিলেটের অবস্থা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। সব থেকে বেশি সমস্যা দেখা যায়, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনায়।
এ সংকট কাটাতে ৩৪৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বন্যা আক্রান্ত এলাকায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার পুনর্নির্মাণে জরুরি সহায়তা নিচ্ছে সরকার। এ প্রকল্পে ২৮৮ কোটি ৮৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাকি ৫৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে মেটানো হবে। এরই মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, জানুয়ারি ২০২৩ থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য: নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সম্প্রতি বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।
সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য: সাম্প্রতিক সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ভ্রাম্যমাণ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সরবরাহ ও বিভিন্ন ধরনের নলকূপ স্থাপন এবং পুনর্বাসনের মাধ্যমে জনগণকে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, যা বন্যা পরবর্তীসময়ে প্রভাব ও ভবিষ্যৎ বন্যার সহায়ক হবে। বন্যাদুর্গত মানুষের মধ্যে গৃহস্থালি ও কমিউনিটি স্যানিটেশন সুবিধার ব্যবস্থা করা, বন্যাকালীন ও বন্যা পরবর্তীসময়ে জরুরি সহায়তা দেওয়া।
প্রকল্পের আওতায় একশটি মোবাইল টয়লেট, ৯৪৫টি লাইফ জ্যাকেট, ১০৫টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। এক হাজার ৭৫০টি টিউবওয়েল স্থাপন, ৩০টি ছোট পানির উৎস ও ৯ হাজার একশটি ডিপ টিউবওয়েল নির্মাণ করা হবে।
এএ