যারা সবুজ গাছপালা, নীরবতা, পাখির কিচিরমিচির, শুকনো পাতার মড়মড়ে শব্দ পছন্দ করেন এমনকি প্রকৃতির মাঝে নিজেকে সঁপে দিতে চান, তাদের জন্য সবই যেন একাকার হয়ে মিশে আছে অরণ্যনিবাস ইকো রিসোর্টে। গ্রাম ঘোরার সুযোগ যাদের নেই, তারা সত্যিকারের আদর্শ গ্রামের অনুভূতি পাবেন এখানে। এটি গড়ে উঠেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বনগাঁও গ্রামে।
বাঁশ ও ছনের তৈরি ইকো রিসোর্টটি সহজেই চোখ জুড়াবে দর্শনার্থীদের। এখানে রয়েছে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য ছাড়াও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যে তৈরি ৮টি কটেজ। রিসোর্টটিতে রয়েছে ৮টি কক্ষ। এছাড়াও রয়েছে ছাত্রদের জন্য আলাদা ৬টা পট হাউজের ব্যবস্থা।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা আকাশ জামান, হাসান আল-মামুন, আব্দুস শুকুর বলেন, দেশে বিভিন্ন নামীদামি কটেজ আছে, তবে এই কটেজটা একটু ব্যতিক্রম। এই কটেজটার মধ্যে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খুঁজে পাওয়া যায়। তাই ফেইসবুকের মাধ্যমে এর লোকেশন খুঁজে এখানে আসছি।’
স্থানীয় শিক্ষক ঝুলন চক্রবর্তী জানান, এ রিসোর্ট হওয়ার পর এলাকাটা এখন অনেক পরিচিতি লাভ করেছে। হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত এ এলাকায় আসছে জানতে পারছে গ্রামগঞ্জের ইতিহাস এতিহ্য।’
অরণ্যনিবাস ইকো রিসোর্টের পরিচালক একেএম কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের সবগুলো কটেজের রুমগুলো স্পেশাল করে তৈরি করা হয়েছে। রয়েছে প্রতিটা রুমে এসি। শুক্র ও শনিবারে কটেজের বড় রুমগুলোর ভাড়া সাড়ে ৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য দিনের জন্যে রয়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। ছোট ছোট পট হাউজের ভাড়া ১ হাজার করে নির্ধারিত করা হয়েছে, সেখানে ছাত্রছাত্রীরা থাকতে পারবেন। এখানে রয়েছে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ,যা গ্রাম বাঁশ ও ছনের দৃষ্টিনন্দন করার জন্য আমরা ব্যতিক্রম করে ঘরে তুলেছি এই ইকো রিসোর্টটি। তাছাড়া রয়েছে স্পেশাল সিকিউরিটি ব্যবস্থা। এটা বাংলাদেশের অন্যান্য ইকো রিসোর্টের চেয়ে পুরোটাই ব্যতিক্রম।
অরণ্যনিবাস ইকো রিসোর্টের পরিচালক আরও বলেন, প্রকৃতির কাছাকাছি কোথাও ছুটি কাটাতে চাইলে অরন্যনিবাস হবে আপনার জন্য দূর্দান্ত এক অপশন। চমৎকার গোছানো এবং গাছা গাছালিতে ভরা এই রিসোর্টে রয়েছে বড় পর্দায় খেলাও ছবি দেখার ব্যবস্থা, বোটিং, নিরিবিলি সময় বা গল্প করার জন্য রয়েছে বেশকিছু বসার স্থান।
এএ