তেল উত্তোলন কমানোর ঘোষণা রাশিয়ার

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৩-০২-১১ ১১:১৯:৩৯


রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের মধ্যে আগামী মার্চ থেকে তেল উত্তোলন কমিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। পহেলা মার্চ থেকে দৈনিক তেল উত্তোলন পাঁচ লাখ ব্যারেল কমিয়ে দেবে মস্কো। রাশিয়ার তেলের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা ও জি৭-এর দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পর এ পদক্ষেপ নিয়েছে পুতিন প্রশাসন। শুক্রবার দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক এ তথ্য জানান। খবর রয়টার্স।

রাশিয়া তেল উত্তোলন কমিয়ে দিলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দামে আবারো অস্থিরতা তৈরি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পরও গত বছর দেশটির তেল উত্তোলন বেড়েছে। কারণ দেশটির তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হয়ে উঠেছে ভারত ও চীন। গত বছর ৫৩৫ মিলিয়ন টন তেল উত্তোলন করে রাশিয়া। দিনে প্রায় ১০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উত্তোলন করে দেশটি। রুশ প্রধানমন্ত্রী নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, তেল উত্তোলন প্রায় অর্ধেক করে ফেলবে রাশিয়া।

এরই মধ্যে চলতি বছর রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। ফলে জোটের কোনো দেশ রাশিয়া থেকে তেল কিনতে পারবে না। অন্যদিকে জি৭ রাশিয়ার তেলের মূল্য প্রতি ব্যারেলে ৬০ ডলার বেঁধে দেয়। প্রসঙ্গত, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বাজেটের বড় অংশই আসে তেল রফতানি খাত থেকে।

এ বিষয়ে শুক্রবার রাশিয়ান সংবাদ সংস্থার এক খবরে বলা হয়েছে, উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সন্ডার নোভাক বলেন, ‘এখন আমরা যা তেল উত্তোলন করছি তার সবই বিক্রি করছি। কিন্তু যারা রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দেয়ার সঙ্গে তাদের কাছে আমরা তেল বিক্রি করব না। এছাড়া আমরা দৈনিক তেল উত্তোলন পাঁচ লাখ ব্যারেল কমিয়ে দেব।’

রাশিয়ার তেলের ওপর ‘প্রাইস ক্যাপ’ দেয়ার সিদ্ধান্তকে বাজারের জন্য ধ্বংসাত্মক উল্লেখ করে নোভাক বলেন, ‘রাশিয়ার তেলের দাম নির্ধারণ আন্তর্জাতিক বাজারে সরাসরি হস্তক্ষেপ বলেই মনে করে মস্কো। এটি একটি ধ্বংসাত্মক জ্বালানি নীতি।’

এনজে