মিয়ানমারে থাকা তাদের সব সম্পদ কানাডিয়ান কোম্পানি এমটিআইয়ের কাছে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় তেল কোম্পানি শেভরন। এ চুক্তির ফলে তারা শেষ পর্যন্ত এই এশীয় দেশটি ত্যাগ করতে পারবে।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর এক বছর আগে শেভরন এবং আরও কয়েকটি কোম্পানি মিয়ানমার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ২০২১ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। শেভরন দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা করেছে।
এ বিষয়ে মিয়ানমারের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্তব্যের জন্য বার্তা সংস্থা রয়টার্স অনুরোধ জানালেও তাতে দ্রুত সাড়া মেলেনি।
এ বিষয়ে মার্কিন কোম্পানিটি শুক্রবার জানায়, তারা এমটিআইয়ের মালিকানাধীন একটি কোম্পানির কাছে ইয়াদানা প্রকল্পের ৪১ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হয়েছে। কিন্তু এর জন্য কী পরিমাণ অর্থের লেনদেন হবে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
ইয়াদানা প্রকল্পে যে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদিত হয়, তা দেশে ব্যবহারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডেও রপ্তানি হয়।
ফরাসি তেল কোম্পানি টোটালএনার্জি ২০২২ সালে তাদের সম্পদ বিক্রি করে মিয়ানমার ত্যাগ করে।
এক বছর ধরে শেভরন এ প্রকল্পে যে ব্যবসায়ী কৌশল পরিচালনা করে, তার আওতায় তারা আস্তে আস্তে গ্যাস বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থের পরিমাণ কমিয়ে আনে। এর কারণ হলো, এ অর্থের একটা অংশ শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারের সামরিক সরকারের হাতে গিয়ে পড়ে। দেশটি রাষ্ট্র–নিয়ন্ত্রিত এমওজিই এই প্রকল্পে সহ–অংশীদার।
ইয়াদানা প্রকল্পে নিজেদের সম্পদ বিক্রি ঘোষণা দেওয়ার আগে শেভরন তাদের শেয়ার ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪১ শতাংশ করে। এর জন্য তারা টোটালএনার্জির শেয়ার কেনে।
শেভরনের এ কৌশলের লক্ষ্য ছিল, যৌথ মালিকানার ওই প্রকল্পে তাদের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়ানো, যাতে এমওজিই এসব লেনদেন থেকে খুব বেশি লাভবান না হতে পারে।
সামরিক সরকার ২০২১ সালে ক্ষমতা দখল করার সময় অভিযোগ করেছিল যে কিছুদিন আগে হওয়া সাধারণ নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে। নোবেল পুরস্কার জয়ী অং সান সু চির দল ওই নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল।
এনজে