রংপুরের তারাগঞ্জে দুই যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের ইকরচালী বরাতির ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিক হতাহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সায়মুন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বরাতি ব্রিজের কাছে পৌঁছোলে সামনের ডানদিকের চাকা পাংচার হয়। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় বিপরীত দিকে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী তৃপ্তি পরিবহনের বাসকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৮ জন এবং হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৪ জনসহ ১২ নিহত হন।

খবর পেয়ে রংপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুমরে মুচড়ে যাওয়া বাসদু’টি উদ্ধারের পর আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করান। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন রংপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মহিদুল ইসলাম।

এদিকে, দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে দুই পারের যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুরের পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক পিপিএম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ সেখানে কাজ করছে।

সানবিডি/ঢাকা/বিএম/এসএস