নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম পাইকারি সুতার মোকাম টানবাজারে সুতার দাম আবারো ঊর্ধ্বমুখী। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সুতার দাম পাউন্ডপ্রতি বেড়েছে ৩-৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নতুন কাপড় উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় সুতার বাজার বেড়েছে। এছাড়া শিল্প-কারখানার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিও দাম বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্পিনিং মিল থেকে সব কাউন্টের সুতার দামই বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ কারণেই বেশি দামে সুতা কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে পাউন্ডপ্রতি ৪৬-৮০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৪৫-৭৬ টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ৪ টাকা।
২০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৭৮-৮৮ টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে পাউন্ডপ্রতি ২ টাকা।
২৪, ২৬, ২৮ ও ৩০ কাউন্টের রফতানি মানসম্পন্ন সুতা প্রকারভেদে বেচাকেনা হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা দরে, যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল পাউন্ডপ্রতি ১২৭-১৩৮ টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ৩-৪ টাকা।
৪০ কাউন্টের বাইন সুতা বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৮৫ টাকা দরে, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ১৭৫-১৮০ টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ৫ টাকা। ৪০ কাউন্টের টানা সুতা বেচাকেনা হচ্ছে ১৯৫-২০৫ টাকা দরে, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৯০-২০০ টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ৫ টাকা।
৫০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে ২১৮-২২৮ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২১০-২২০ টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে প্রায় ৫ টাকা।
৬০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে পাউন্ডপ্রতি ২১০-২৪০ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০০-২৩৫ টাকা। সে হিসাবে পাউন্ডপ্রতি দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা।
৮০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে প্রকারভেদে ৩৩৫-৩৪০ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩৩০-৩৩৫ দরে। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ৫ টাকা।
বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা জানান, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে টানবাজারে সুতার দাম প্রকারভেদে পাউন্ডপ্রতি বেড়েছে ৫-১০ টাকা। শিল্পকারখানায় গ্যাসের দাম বাড়ানো এবং ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বাজারে সুতার চাহিদা বেড়েছে। এ সুযোগ স্পিনিং মিলগুলো দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে দাম বাড়লে বাজারে বেচাকেনা কম।
এনজে