আসন্ন ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের জন্য ৬টি প্রস্তাব করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের ওপর কেটে রাখা উৎসে কর চূড়ান্ত দায় হিসেবে নিষ্পত্তি, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশে আয়কর ২০ শতংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ এবং এসএমই বোর্ডের কোম্পানিগুলোকে ৫ বছর পর্যন্ত হ্রাসকৃত হারে আয়কর প্রদানের সুযোগ দেওয়া।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিসার) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএসইর প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয় কর কমানো, এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৫ বছরের কর ছাড়, বন্ডের সুদজনিত আয়কে করমুক্ত রাখা, লভ্যাংশে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো।
বাজেট প্রস্তাবনায় দেশের প্রধান এই স্টক এক্সচেঞ্জটি তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির কর হার কমিয়ে তালিকা-বহির্ভূত কোম্পানির করহারের ব্যবধান ১২.৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছে। বর্তমানে এই কর হারের ব্যবধান সাড়ে ৭ শতাংশ।
বর্তমানে ব্যাংক-বিমা, টেলিকম ও তামাক খাতের কোম্পানি ছাড়া তালিকাভুক্ত অন্য কোম্পানিগুলোকে ২০ শতাংশ হারে আয়-কর দিতে হয়। ডিএসই এই কর-হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে। এ বিষয়ে ডিএসইর যুক্তি, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলিকে তাদের আর্থিক এবং কর্পোরেট শাসনের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করতে হবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বাড়াতে পারলে মোট রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। কম করের হার বহুজাতিক এবং ভালো মানের কোম্পানিগুলোকে এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করবে।
ডিএসই কর্তৃপক্ষ এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত স্বল্পমূলধনী কোম্পানির তালিকাভুক্তির সময় থেকে ৫ বছর পর্যন্ত করহার কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে।
ডিএসইর প্রস্তাবনায় সুকুকসহ সব ধরনের বন্ডের মুনাফা বা সুদ আয়কে কর অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বর্তমানে শুধু জিরো-কূপন বন্ডে করমুক্ত সুবিধা আছে।
ডিএসইর অন্যান্য প্রস্তাবনার মধ্যে আছে স্টক ডিলারদের ক্ষেত্রে মূলধনী মুনাফা কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার।
পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন
Sunbd News–ক্যাপিটাল নিউজ–ক্যাপিটাল ভিউজ–স্টক নিউজ–শেয়ারবাজারের খবরা-খবর
এএ