টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ন্যায় বিচার না পেয়ে এক কলেজ ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে উপজেলার মীর দেওহাটা গ্রামে।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামের মিনার হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের ওই ছাত্রীর দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এক পর্যায়ে আমজাদ তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। সম্প্রতি ওই ছাত্রী আমজাদকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু আমজাদ নানা অজুহাতে তা প্রত্যাখ্যান করতে থাকেন।
পরে ওই ছাত্রীটি গত ৩ এপ্রিল মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেননি। এরই মধ্যে ছাত্রীটির পরিবারের সদস্যরা গ্রাম্য মাতব্বরদের ঘটনাটি জানান। বিষয়টি মীমাংসার জন্য মাতব্বরেরা তিন দিন সময় নেন।
এদিকে আমজাদের পরিবারের সদস্যরা থানায় অভিযোগের খবর শুনে ওই ছাত্রী ও তার বাবা-মায়ের নামে থানায় মামলা করার হুমকি দেয়। এই হুমকির কথা শুনে বুধবার ছাত্রীটি তাদের ঘরের ধন্যার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এসময় প্রতিবেশিরা বিষয়টি টের পেয়ে ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে ছাত্রীটির বাবা-মা বুধবার সন্ধায় মির্জাপুর প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তাদের মেয়ে ন্যায় বিচারের জন্য অনেক দিন আগেই থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
ইউপি সদস্য মজিদ মল্লিক ও স্বপ্না বেগম সাংবাদিকদের জানান, মেয়েটি গত ৩ এপ্রিল থানায় অভিযোগ করেন। গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) তারা মেয়েটিকে নিয়ে থানায় গেলে ওসি বিচারের আশ্বাস দেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, তিনি আমজাদকে গ্রেপ্তারের জন্য সোমবার পুলিশের এস আই ছানোয়ার হোসেনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আমজাদের বাড়িতে গিয়ে তালা দেখেছেন বলে জানিয়েছিলেন।
সানবিডি/ঢাকা/আহো