আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম ব্যাপক বেড়েছে। গত ৬ সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে। ফলে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদের হার বাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিনিয়োগকারীরা। এই খবরে ডলারের দর বাড়ছে।
পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটেনের মুদ্রা স্টার্লিংয়ের বড় দরপতন ঘটেছে। প্রতি ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য স্থির হয়েছে ১ দশমিক ১৯৫২ ডলারে। গত ৬ সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বনিম্ন।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান মুদ্রা ইউরোর মান কমেছে। ইউরোপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ১ দশমিক ০৬৫২ ডলারে। গত ৯ জানুয়ারির পর যা সবচেয়ে কম।
জাপানের মুদ্রা ইয়েনেরও অবমূল্যায়ন হয়েছে। প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১৩৪ দশমিক ৬৯ ইয়েনে। গত ৬ সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বনিম্ন।
এছাড়া ইউএস ডলারের বিরুদ্ধে শক্তি হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রাও।
সিএমসি মার্কেটের বাজার বিশ্লেষক টিনা টেং বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এখনও শক্তিশালী আছে। ফলে শিগগিরই অর্থনৈতিক মন্দা আসছে না। অধিকন্তু সুদ হার বাড়িয়ে যেতে পারে ফেড। এতে ডলারের দাম বাড়তি থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
ইতোমধ্যে ১০ বছর মেয়াদি মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বরের পর যা সর্বোচ্চ।
এএ