কক্সবাজারের হোটেলে এক নারীকে হত্যার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান (৫১) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব বলছে, তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলে উঠলেও, তারা তা ছিলেন না । শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা হোটেলে আসেন। সেখানে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হলে মোস্তাফিজুর ওই নারীকে হত্যা করে। তবে নিহতের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ) চান্দগাঁও ক্যাম্পের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম। গ্রেপ্তার মোস্তাফিজুর বাগেরহাট জেলার আতাইকাঠি এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে।
মাহবুব আলম বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ‘সি বার্ড’ নামে একটি আবাসিক হোটেল থেকে একজন নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী এবং মোস্তাফিজুর স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হোটেলে উঠেছিলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি মোস্তাফিজুর রুমের বাইরে তালা দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে ভেতরে আলো জ্বলতে দেখে হোটেল বয় ডাকাডাকি করে। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে মোস্তাফিজুর পলাতক ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিকে গ্রেপ্তারে র্যাব তদন্ত শুরু করে। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে হাটহাজারীর চৌধুরীরহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার অপরাধ ও চরিত্র বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় তিনি পেশাগতভাবে মাদক ব্যবসায়ী ও নারীসঙ্গে আসক্ত ছিলেন।
র্যাব জানিয়েছে, এর আগেও কয়েকবার মোস্তাফিজুর অন্যান্য নারীসহ ভোগবিলাসের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন হোটেলে যাতায়াত করেছেন। তল্লাশি করে তার পকেট থেকে আগ্রা ১০০ নামক সিলডেনাফিল গোত্রের যৌন উত্তেজক ওষুধ পাওয়া গেছে। নিহতের ফিঙারপ্রিন্ট যাচাইয়ের মাধ্যমে পরিচয় সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি এবং কেউ অভিভাবকত্ব দাবি না করায় তার সম্পর্কে বেশি কিছু জানা সম্ভব হয়নি। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা। আসামির বিরুদ্ধে ঢাকা ও কক্সবাজার জেলায় চারটি মামলা রয়েছে।
আই এইচ