‘ভারতের জাল নোট চেনার প্রশিক্ষণ নেবে পুলিশ’
প্রকাশ: ২০১৫-১০-১৮ ১২:২৬:১৫
ভারতের গোয়েন্দাদের দাবি, প্রতিবেশী একটি দেশের সিকিউরিটি প্রেসে (যেখানে দেশের টাকা ছাপানো হয়) দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় জাল নোট ছাপানো হচ্ছে। আর এসব নোটের ৯০ শতাংশের বেশি অবৈধ পথে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকছে।
ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের আজ রোববারের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
‘ও পারের পুলিশকে জাল নোটের পাঠ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় জাল নোটের এই প্রবাহ বন্ধ করতে দেশটির আসল নোট চেনার প্রয়োজনীয় পাঠ দেওয়া হবে বাংলাদেশ পুলিশকে। ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) তত্ত্বাবধানে দেশটির পুলিশ ও ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞরা এই প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবে। আগামী মাসে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এনআইএ জানিয়েছে, অন্যদেশ থেকে বাংলাদেশ হয়ে প্রচুর পরিমাণ ভারতীয় জাল নোট ভারতে প্রবেশ করে। ওই নোটগুলো বাংলাদেশে আটকে দিতেই ওই প্রতিবেশী দেশের পুলিশদের ভারতীয় রুপির বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবির দাবি, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে ২৩ কোটি টাকার ভারতীয় জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে।
এনআইএর এক কর্মকর্তা জানান, জাল নোটের গুণমান দিন দিন উন্নত হচ্ছে। এতে দেশীয় গোয়েন্দাদের অনেকেই ধোঁকা খাচ্ছেন। সেখানে বাংলাদেশের পুলিশের কিছু করার নেই।
তিনি জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে ২ কোটি ৭১ লাখ টাকার ভারতীয় জাল নোট ধরা পড়ে। এর দুইদিন পর ঢাকা বিমানবন্দরে উদ্ধার হয়েছে আরও ১ কোটি ২৮ লাখ টাকার ভারতীয় জাল নোট। ওই সব নোটের মান খুব ভাল। এমনকি, আসল নোটের বেশ কয়েকটি সুরক্ষা-বৈশিষ্ট্যও ওই জাল নোটে রয়েছে। গাঁন্ধীজির জলছবিও দেওয়া হয়েছে এতে।
ওই কর্মকর্তা জানান, এই জাল নোটের ব্যাপারে তদন্তে জানা গেছে, করাচি থেকে দুবাই হয়ে চট্টগ্রাম বা ঢাকা রুটে ভারতীয় জাল নোট পাচার করা হচ্ছে। এসব নোট ভারতে ঢুকানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।
ভারত বা অন্য যেকোনো দেশের নোট পাচারের বিষয়ে সতর্কাবস্থায় থাকে বাংলাদেশ পুলিশ। একইসঙ্গে বেশি পরিমাণে বিদেশি নোট কোনো ব্যক্তির কাছে পাওয়া গেলে তাকে আটক এবং তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তবে কখনও কখনও এদের কেউ কেউ জামিনে মুক্তি পাচ্ছে।