বরিশালে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাকিব হাওলাদার (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২ এর একটি দল।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-২ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মো. ফজলুল হক বলেন, গতকাল (বুধবার) গাজীপুরের টাকশাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি বরিশালের গৌরনদী যাওয়ার কথা বলে রাকিবসহ আরও দুই জন নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে ভিকটিম জসিমের মোটরসাইকেল ভাড়া করেন। চালক জসিমের মোটরসাইকেলটি গৌরনদীর লক্ষণকাঠি গ্রামে পৌঁছালে আসামিরা মোটরসাইকেলটি থামাতে বলেন। এরপর রাকিব তার কোমর থেকে একটি চাকু বের করে মোটরসাইকেল চালক মো. জসিমের গলায় আঘাত করেন। পরে রাকিব ও তার সহযোগীরা জসিমের মরদেহ একটি খালে ফেলে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
তিনি বলেন, তখন এ ঘটনায় গৌরনদী থানায় একটি মামলা হয়। মামলার পর রাকিবসহ অন্য আসামিরা ২১ মাস কারাভোগ করে জামিনে বের হন। পরে গৌরনদী থানা পুলিশ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে আসামিরা আদালতে নিয়মিত হাজিরা না দিয়ে পলাতক থাকেন।
পরে আদালত দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন। এদিকে আসামিরা গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে দীর্ঘদিন পলাতক থাকেন। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র্যাব আসামিদের গ্রেপ্তার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, রাকিব প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, হত্যাকাণ্ডের পর তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর টাকশাল এলাকায় লেবারের কাজ করে আত্মগোপনে ছিলেন। ঘটনার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেন রাকিব।
গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।
আই এইচ