পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, আজকে বাংলাদেশের যে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে তা ভারত-পাকিস্তানকে পিছনে ফেলেছে। আমাদের দেশকে উন্নয়নের চূড়ায় নিয়ে যেতে যে রূপকল্পের কথা বলা হয়েছিল তা বাস্তবায়নে আমরা সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা ইতিমধ্যে সফলতা অর্জন করেছি।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালে সোনার বাংলা গড়ার জন্য যে রূপকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জলবায়ু প্রতিরোধের জন্য আমরা ১০০ বছরের একটি পরিকল্পনা নিয়েছি। তথ্য ছাড়া কখনোই পরিকল্পনা করা যায় না, আর এক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের ভূমিকা অপরিসীম। পরিসংখ্যানের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় পরিকল্পনার ক্ষেত্রে। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (এসডিসি) তথ্য বিল্পব ছাড়া সম্ভব নয়।’
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘এই পরিসংখ্যান বিভাগ কেবল গবেষক তৈরি করেছে তা নয়, রাজনীতিবিদও তৈরি করেছে। বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হলো জীবনের অন্ধকার দূর করা। বিজ্ঞানকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন তা হলো পরিসংখ্যান। পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম। রবোটিক, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে পরিসংখ্যান প্রয়োজন। এই পরিসংখ্যান বিভাগের উন্নয়নের জন্য আপনাদের যে চেষ্টা সেটা অব্যাহত থাকবে।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তার সাথে একটি নাম জড়িয়ে আছে। আর তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি জানতেন বিশ্বে তৃতীয় শিল্প-বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে। বর্তমানের যে উন্নয়ন তার সাথে পরিকল্পনা মন্ত্রীরও অনেক অবদান রয়েছে।’
এদিন সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীতের সাথে পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এসময় তিনি বিভিন্ন গবেষণা প্রদর্শনীর স্টল ঘুরে দেখেন তিনি। পরে পরিসংখ্যান বিভাগের একটি কম্পিউটার ল্যাবও উদ্বোধন করেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের পক্ষ থেকে ৪৮ জন শিক্ষার্থীকে ৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকার অধ্যাপক মুকতার মোহাম্মদ আলী বৃত্তি প্রদান করা হয়।
এএ