তিতাস গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানি লিমিটেডের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার কোনো হদিস নেই। আর্থিক হিসাব বিবরণীতে গ্রাহকের কাছে পাওনা ও তাদের জমা রাখা জামানত হিসেবে এ টাকা দেখানো হলেও বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। কোম্পানিটির হিসাব বিবরণী নিরীক্ষক খান ওয়াহাব শফিক রহমান অ্যান্ড কোম্পানি নিরীক্ষা করতে গিয়ে আলোচিত টাকার কোনো অস্তিত্ব পায়নি। বিষয়টি যেন কাজির গরুর মতো, যেটি কেতাবে আছে, কিন্তু গোয়ালে নেই।
নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তার প্রতিবেদনে দেওয়া মতামতে বিষয়টি তুলে ধরেছে। এছাড়া সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য সংরক্ষিত পেনশন ফান্ডের অস্তিত্ব সম্পর্কেও সন্দেহ প্রকাশ করেছে নীরিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খান ওয়াহাব শফিক রহমান অ্যান্ড কোম্পানির মন্তব্য থেকে জানা যায়, তিতাস গ্যাস ৩০ জুন ২০১৫ তারিখে সমাপ্ত বছরের হিসাব বিবরণীতে গ্রাহকদের কাছে গ্যাসের বকেয়া বিল হিসেবে ২ হাজার ৫৪৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা পাওনার কথা উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে কোম্পানির বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসের পাওনা ২ হাজার ১৭৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। কিন্তু আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো এই পাওনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।
অন্যদিকে হিসাববিবরণীতে গ্রাহকদের মোট জামানতের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৯৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। কিন্তু কোম্পানির কোন ব্যাংক হিসাবে, কোথায় কিভাবে এই টাকা সংরক্ষিত আছে তার কোনো প্রমাণ পায়নি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
কোম্পানির হিসাববিবরণী অনুসারে ৩০ জুন তারিখে পেনশন ফান্ডে ১১২ কোটি ৬১ লাখ টাকা জমা ছিল। কিন্তু বাস্তবে কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অবসরজনিত দায় পরিশোধের জন্য কত টাকা প্রয়োজন কোম্পানি সেটির সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব করেনি। তাই এ তহবিল পর্যাপ্ত কি-না সে নিয়ে সংশয় আছে।