র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুককে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে এ পদোন্নতি দেওয়া হয়।
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে র্যাব মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেনকে। পুলিশের এই কর্মকর্তা বিসিএস ১২তম (পুলিশ) ব্যাচে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন। সবেশষ তিনি পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। মেধাবী ও চৌকস পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচিতি এম খুরশীদ হোসেনের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি দুইবার পুলিশের সর্বোচ্চ পদক ‘বিপিএম’ এবং একবার ‘পিপিএম’ পেয়েছেন।
এদিকে গত বছরের ২৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে ডিএমপির নতুন কমিশনার নিয়োগ পান অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি পুলিশের ১২তম বিসিএস কর্মকর্তা। খন্দকার গোলাম ফারুক ১৯৬৪ সালের ১ অক্টোবর টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর থানার ঘাটানদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৯১ সালে ২০ জানুয়ারি ১২তম বিসিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মজীবন শুরু করেন। সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে প্রথমে বগুড়ার ৪-এপিবিএন পরে সিএমপি চট্টগ্রাম এবং খাগড়াছড়ি জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। এএসপি হিসেবে শেষ কর্মস্থল ছিল ডিএমপি ঢাকা।
এরপর তিনি খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় অতিরিক্ত এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তার প্রথম পোস্টিং হয় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি কনফিডেন্সিয়াল শাখায়। তার নিষ্ঠা, বুদ্ধিমত্তা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে খন্দকার গোলাম ফারুক ঠাকুরগাঁও, কিশোরগঞ্জ, ঝালকাঠি, জামালপুর এবং ময়মনসিংহ জেলায় পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে তিনি ডিএমপি ও ঢাকা রেঞ্জ পুলিশে কাজ করেছেন। এরপর ডিএমপিতে অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) হিসেবে কাজ করেন। তিনি রংপুর রেঞ্জ পুলিশ ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা, রাজশাহীর অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত হন। সর্বশেষ পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০০৬ সালে এবং ২০১৮ সালে দুবার বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম-সেবা) অর্জন করেন। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা) লাভ করেন। তিনি ২০১৯ সালে আইজিপি গুড সার্ভিস ব্যাজও প্রাপ্ত হন।
তিনি ২০১৪ সালে ইন্টারপোল এবং ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ইন্টারন্যাশনাল ল এনফোর্সমেন্ট ক্রিটিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিম্পোজিয়াম এবং নেপালে অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ প্রশিক্ষণসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত অ্যাঙ্গোলায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।
এএ