বাংলাদেশের সামনে ইংল্যান্ডের রানের পাহাড়

স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৩-০৩-০৩ ১৬:০১:৪৩


তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৩২৭ রানের টার্গেট দিয়েছে ইংলিশরা। জেসন রয়ের সেঞ্চুরি আর অধিনায়ক জস বাটলারের হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩২৬ রান করে সফরকারিরা।

শুক্রবার (৩ মার্চ) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় দুপুর ১২টায়। ম্যাচটি সরাসরি দেখাচ্ছে গাজী টিভি ও টি-স্পোর্টস।

এর আগে মিরপুরে ২০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে টস জিতে ইংলিশদের ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রথম ওয়ানডে থেকে কোনো পরিবর্তন আসেনি বাংলাদেশ দলে। ক্রিস ওকস ও জফরা আর্চার জায়গা করে একাদশে সুযোগ পান স্যাম কুরান ও সাকিব মেহমুদ।

সপ্তম ওভারে প্রথম ব্রেকথ্রু পায় বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের বলে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্ত দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন ফিল সল্ট (৭)। ভাঙে ২৫ রানের ওপেনিং জুটি। ক্রিজে আসেন প্রথম ম্যাচে জয়ের নাযক ডেভিড মালান।

৫৪ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়েছিলেন জেসন রয় ও মালান। তবে বোলিংয়ে এসে নিজের তৃতীয় বলে প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মালানকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৯ বলে ১১ রানে বাঁহাতি এই ব্যাটারের বিদায়ে স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশ শিবিরে।

জেমস ভিন্সকে বেশি সময় স্থায়ী হতে দেয়নি তাইজুল ইসলাম। ১৬ বলে ৫ রান করে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর অধিনায়ক জস বাটলারকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন রয়। ১০৪ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১২তম সেঞ্চুরি তুলে নেন জেসন রয়। ব্লুমফন্টেইনের পর আবারও সেঞ্চুরি পেলেন তিনি।

সেঞ্চুরির পর রানের গতি বাড়িয়েছিলেন রয়। সাকিবকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু হন তিনি। ১২৪ বলে ১৩২ রানের ইনিংসে ১৮টি চারের সঙ্গে হাঁকান ১টি ছক্কা। বাটলারের সঙ্গে তার জুটিতে উঠেছে ৯৩ বলে ১০৯ রান।

এরপর ৭ বলের মধ্যে আবারও আঘাত হানে বাংলাদেশ। তাসকিনের ধীরগতির শর্ট বলে মিডউইকেটে সাকিবের হাতে তুলে দেন উইল জ্যাকস। ৩ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।

জেসন রয় থামলেও ছুট ছিলেন জস বাটলার। ৫০ বলে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৪তম হাসসেঞ্চুরি। এরপর শুরু করেন ঝড়। ফিফটির পর ১৩ বলে তুলে ফেলেছিলেন ২৬ রান। মেহেদী হাসান মিরাজের পরপর দুই বলে হাঁকান দুটি বিশাল ছক্কা। কিন্তু পরের বলে ইংলিশ অধিনায়ককে কট অ্যান্ড বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। ৬৪ বলে ৭৬ রান করেন বাটলার।

এম জি