শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসে অংশ নিয়ে রাজশাহীতে ফেরার সময় পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচ অপ্রাপ্তবয়স্ক খেলোয়াড় জামিন পেয়েছেন।
সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী রেলস্টেশনে ১১ খেলোয়াড় ও তাদের কোচকে গ্রেপ্তার করে রেল পুলিশ।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, ফারহানা খন্দকার (১৭), আবদুল আল জাহিদ (১৬), বৃষ্টিমনি (১৬), খাদিজা খাতুন (১৭) ও জেমী আখতার (১৪)।
জানা গেছে, যুব গেমসে অংশ নিয়ে ঢাকা থেকে ফেরার সময় জাতীয় জরুরি সেবায় (৯৯৯) কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে হাতাহাতি ও মারামারি হয় খেলোয়াড়দের। এ সময় তাকে ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা জয়াকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও গলার চেইন ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে রেলওয়ে থানায় মামলা করেন রাজিয়া সুলতানা। পরে এ মামলায় ১১ খেলোয়াড় ও কোচকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এদিকে ১১ খেলোয়াড়ের মধ্যে তিনজন ছেলে ও আটজন মেয়ে। ছয়জনের জামিন নামঞ্জুর করায় কারাগারে পাঠানো হয়। তারা হলেন, আলী আজম (১৯), আকাশ আলী মোহন (২০), রিমি খানম (১৯), পাপিয়া সারোয়ার ওরফে পূর্ণিমা (১৯), মোছা. দিপালী (১৯) ও সাবরিনা আক্তার (১৯) এবং তাদের কোচ আহসান কবীর (৪৫)।
খেলোয়াড়রা জানান, তাদের ব্যাগ ও টাকা হারিয়ে গেলে তা খোঁজার সময় পুলিশ কনস্টেবল গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে ফারহানা খন্দকারের ধাক্কা লাগে। এ সময় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে সরি বলেন। এরপরও গোলাম কিবরিয়া তাকে চড় মারেন। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এতে আহত হন গোলাম কিবরিয়া। রেল পুলিশ খেলোয়াড়দের থানায় এনে আটকে দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মাইনুর রহমান জানান, অপ্রাপ্তবয়স্ক খেলোয়াড় হওয়ায় তাদেরকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জামিনযোগ্য। তাছাড়া তারা শিশু এবং খেলোয়াড়। তাই আদালত তার ক্ষমতায় জামিন দিয়েছেন।
আই এইচ