নতুন মৌসুমে গম রফতানি কমাবে না ইউক্রেন
সানবিডি২৪ আপডেট: ২০২৩-০৩-০৮ ১১:৩৪:০০
রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনে শীতকালীন খাদ্যশস্য সংগ্রহ প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে নতুন বিপণন মৌসুমে (জুন-জুলাই) গম রফতানি কমানোর পরিকল্পনা নেই দেশটির। ইউক্রেনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটা জানিয়েছেন।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর আগে ইউক্রেন ছিল বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ গম রফতানিকারক দেশ। আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জন্য ইউক্রেনের সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি উপমন্ত্রী তারাস ভিসোতস্কি জানান, মন্ত্রণালয় ও স্যাটেলাইট থেকে সংগৃহীত তথ্যানুযায়ী, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে ধারণার চেয়েও বেশি গম আবাদ করেছেন কৃষকরা। সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে এখনো ভারসাম্য রয়েছে। তাই এখন পর্যন্ত গম রফতানি কমিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা নেই। সরকার যদি রফতানি সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তা হবে স্থানীয় মজুদ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে।
এর আগে ইউক্রেনের কিছু কৃষি গ্রুপ জানিয়েছিল, সরকার গম রফতানি কমিয়ে দিতে পারে। মূলত স্থানীয় বাজারে ভাঙানো গমের সরবরাহ কমে যাওয়া এবং নিম্নমানের গম সংগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতেই তারা এ আশঙ্কা করেছিল। তবে কৃষি মন্ত্রণালয় রফতানি কমানোর পরিকল্পনা নেই বলে আশ্বস্ত করেছে।
মন্ত্রণালয়ের বর্তমান প্রাক্কলন বলছে, দেশজুড়ে কৃষকরা ৪১ লাখ হেক্টর জমিতে শীতকালীন গম আবাদ করেছেন, যা অক্টোবরে করা প্রাক্কলনের তুলনায় তিন-চার লাখ হেক্টর বেশি। ওই সময় ৩৭-৩৮ হেক্টরে আবাদের কথা বলা হয়েছিল। আবাদসংক্রান্ত আরেকটি প্রাক্কলন শিগগিরই প্রকাশ হবে বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আবাদ বাড়লেও তা যুদ্ধপূর্ব অবস্থায় ফেরেনি। যুদ্ধের আগে কৃষকরা গড়ে ৬২ লাখ হেক্টরে গম আবাদ করতেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেনে গম উৎপাদনের পরিমাণ নির্ভর করছে বসন্ত মৌসুমের বৃষ্টিপাতের ওপর। কারণ এর পরই কৃষকরা গম উত্তোলন শুরু করবেন।’ তার প্রাক্কলন অনুযায়ী, এবার ১ কোটি ৬০ লাখ থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টন পর্যন্ত গম উত্তোলন করা হতে পারে। গত বছর উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ২ লাখ টন।
চলতি মৌসুমের এখন পর্যন্ত ইউক্রেন ১ কোটি ১৩ লাখ টন গম রফতানি করেছে। ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমের একই সময় রফতানির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৮১ লাখ টন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রফতানি লক্ষণীয় মাত্রায় কমেছে।
এনজে