বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম রফতানিকারক দেশ অস্ট্রেলিয়া। জলবায়ুর ধরন পরিবর্তনের ফলে আসন্ন উৎপাদন মৌসুমে শস্যটির চালান রেকর্ড পরিমাণ অর্থাৎ ২০ শতাংশ কমতে পারে। খবর ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩-২৪ সময়ে শস্যটির রফতানির পরিমাণ ২ কোটি ২৫ লাখ টনে নেমে আসবে। এক বছর আগে এর পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৮০ লাখ টন। অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড রিসোর্স ইকোনমিকস অ্যান্ড সায়েন্সের পূর্বাভাস অনুসারে, শস্যটির উৎপাদন ৩ কোটি ৯২ লাখ থেকে ২ কোটি ৮২ লাখ টনে নেমে আসতে পারে। শস্যটির আসন্ন রোপণ মৌসুম শুরু হবে এপ্রিলে।
যদিও ডিসেম্বরে ৩ কোটি ৬৬ লাখ টন গম উৎপাদন হবে বলে যে অনুমান করা হয়েছিল, ফলন তার থেকে বেশি হয়। তাছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে শস্যটির চালান আটকে গেলে অস্ট্রেলিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ গম রফতানি করা হয়, যা গত বছর বিশ্বব্যাপী পণ্যটির মূল্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে শস্যটির উৎপাদনও বেশি হয়। তবে চলতি বছরের সামনের মাসগুলোয় আবহাওয়া আগের মতো অনুকূল থাকবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুষ্ক আবহাওয়া ফিরে আসার শঙ্কাও রয়েছে বলে দেশটির সরকারি সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণ ও জলবায়ুর পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৩-২৪ সালে দেশটির কৃষি খাত এল নিনোর প্রভাবে খরা পরিস্থিতির কবলে পড়তে পারে।
এনজে