সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে কমেছে মসলাজাত পন্য জিরা আমদানির পরিমাণ। গত অর্থবছরের প্রথম আট মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে প্রায় ৪০০ টন কম জিরা আমদানি হয়েছে।
আমদানি কমায় দেশীয় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। গত এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি জিরার মূল্য ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, ডলারের উচ্চমূল্য, এলসি জটিলতাসহ ভারতে মসলা পণ্যের দামও বেশি। এসব কারণে দেশীয় বাজারে জিরার পাশাপাশি অন্যান্য মসলার দামও বেড়েছে।
এ বিষয়ে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৪১৫ টন। যার আমদানি মূল্য ২৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ে বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ টন। যার মূল্য ৪৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে ৩৬৯ টন আমদানি কমেছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনে কাস্টমসের দায়িত্বরত বিভাগীয় সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান জানান, চলতি অর্থবছরে জিরা আমদানি কিছুটা কমেছে। উচ্চকরযুক্ত যেসব পণ্য আমদানি হয়ে থাকে তার মধ্যে জিরা উল্লেখযোগ্য।
অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলার সবচেয়ে বড় মসলা আড়ত সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি মসলা দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে জিরা প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৭০-৮০ টাকা। ভারত, পাকিস্তান ও ইরান থেকে আমদানি করা জিরার দামও বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে পাইকারি বা খুচরা বাজারে।
এনজে