দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় আসবে বীমা খাত

পুঁজিবাজার ডেস্ক আপডেট: ২০২৩-০৩-১৫ ১২:৫৮:১১


দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় বীমা খাত আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান জয়নুল বারী।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত বীমা খাতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সিএমজিএফ টকে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সিএমজেএফের  সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় সিএমজেএফ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের সভাপতি জিয়াউর রহমান।

অনুষ্ঠানে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বীমা আইনের সময়োপযোগী সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছি। ১০ বছর ধরে বীমা আইন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমরা দেখেছি কিছু কিছু জায়গায় সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। এত বেশি ধারায় রেগুলেশন করার কথা বলা আছে যা একেবারেই বাস্তবায়ন অযোগ্য। প্রতিটি ধারায় বলা হয়েছে রেগুলেশন দ্বারা নির্ধারিত করতে হবে।  কত রেগুলেশন দ্বারা করা সম্ভব। ইতিমধ্যে আমরা ২৫টির মতো রেগুলেশন করেছি। ইতিমধ্যে আরও ২৫টি পাইপলাইনে রয়েছে। আমরা এটার পরিবর্তন আনতে চাচ্ছি। সব জায়গায় রেগুলেশনের দরকার নেই। অনেক জায়গায় রয়েছে অডিট করাতে হলে ফার্ম নির্ধারণ করতে হবে রেগুলেশন দ্বারা। এ রকম করতে থাকলে তো রেগুলেশনের ঘুরপাকে থাকতে হবে সারাদিন। আমরা বীমা আইন সংশোধনের জন্য ইতিমধ্যে একটি মিটিংও করেছি। অফিসারদের দায়িত্ব দিয়েছি। তারা যে যে ধারায় সংশোধনের প্রয়োজন তা নির্ধারণ করছেন। যতদ্রত সম্ভব আমরা তার একটি খসড়া তৈরি করে স্টেকহোল্ডারদের মতামত নিয়ে মন্ত্রণালয় পাঠানো হবে। বীমা আইন যুগোপযুগী করতেই হবে।

তিনি আরও বলেন, অনিয়মের জন্য যদি কোন কোম্পানিতে ৫ হাজার বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় তাতো গ্রাহকের টাকা। তাই জরিমানাও করতে গেলেও বাঁধে। এসব জায়গায় আমরা সংশোধনের চেষ্টা করছি।

জয়নুল বারী আরও বলেন, আমি এসে যখন দেখলাম ডেল্টা লাইফের খুবই খারাপ অবস্থা। তখন অনিয়ম চলছিল। এখানে আইনত একটা বোর্ড ভেঙ্গে দেওয়া প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া। তারপর কিহবে প্রশাসক তো আর চিরস্থায়ীভাবে বোর্ড চালাবে না। সেখানেও দুইটি অপশন দেওয়া আছে। হয় আগের বোর্ডের কাছে ফেরত যেতে হতো। অথবা প্রশাসকের রিপোর্ট অনুযায়ী কোম্পানি যদি আর চালানো না যায় তাহলে কোম্পানি অবসায়নে যাওয়া। অবসায়নের মতো সিদ্ধান্তে তো যাওয়া ভালো কাজ নয়। আমরা চেষ্টা করলাম কিভাবে কোম্পানিটিকে রক্ষা করা যায়। আমরা কিন্তু বোর্ড গঠন করি নাই। বোর্ড গঠন করার ক্ষমতা আমাদের নাই। আমরা বোর্ড বাতিল করতে পারি। প্রশাসক নিয়োগের আদিশ হাইকোর্টে বাতিল হয়ে গেছে।  সরকার আপিল করেছিল। দীর্ঘ দিন প্রশাসকের মাধ্যমে কোম্পানি  চলার কারণে ক্ষতি হচ্ছিল। এছাড়া অনেক মামলা হওয়ার কারণে তা পরিচালনা করতেই কয়েক কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। এটা চলতে থাকলে প্রতি বছরই কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হতো। যার গিয়ে পরতো কোম্পানির গ্রাহকদের উপর। সেই বিবেচনায় আমরা তাদের বলেছি আপোস মিমাংসা করে আসেন নিজেদের মধ্যে। তারপর এটা আদালতে পাঠাবো। তারা তাদের স্টোকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করে আমাদের কাছে বলে এই বোর্ডটি যদি আদালতে গৃহিত হয় তাহলে আমাদের সব শর্ত মানবে। তখন আমরা কিছু শর্ত দিলাম। যার মধ্যে ছিল মামলাগুলো সব তুলতে হবে। এক বছরের জন্য এ বোর্ড থাকবে। এরপর তারা নতুন করে বোর্ড করবে। এরকম শর্ত দেওয়ার পর আপিল বিভাগে পাঠালে আদালত তা গ্রহন করে। তারপর বোর্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সানবিডি/এসকেএস