আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই শিশুদের কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুরা যাতে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে সেটাই তার সরকারের লক্ষ্য।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় আয়োজিত শিশু সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, শিশুদের কথা বিবেচনায় নিয়েই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করে নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছি। ১ কোটি ২০ লাখ শিশুকে উপবৃত্তি দিচ্ছি। সব মিলিয়ে উপবৃত্তি পাচ্ছে ২ কোটি শিক্ষার্থী।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না। আজকের শিশুরাই হবে আগামী দিনের স্মার্ট জনগোষ্ঠী, যারা আগামীতে এগিয়ে নেবে দেশকে।
শিশুদের খেলাধুলা, শরীরচর্চার দিতে নজর দিতে হবে। মেনে চলতে হবে অভিভাবক ও শিক্ষকদের। হতে হবে মানবিক গুণসম্পন্ন ও সহানুভূতিশীল, বলেন তিনি।
‘আত্মবিশ্বাস নিয়ে গড়ে ওঠবে শিশুরা। মানুষের জন্য কাজ, মানুষের জন্য ত্যাগ করতে হবে--সেভাবেই গড়ে ওঠতে হবে।’
কোনো মানুষ ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তার আদর্শ আছে। তার আদর্শ নিয়েই এগিয়ে যাব আমরা। কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সবাই পাবে মৌলিক অধিকার।
এর আগে, বেলা পৌনে ১১টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনী তাদের গার্ড অব অনার দেয়। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মোনাজাতে অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান। পরে কেন্দ্রীয় ও গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে জাতির পিতার সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সকাল ১০টার দিকে সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সকাল ৮টার দিকে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন শেখ হাসিনা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়ায় যান। রাষ্ট্রপতি ঢাকায় ফিরলেও প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন শিশু সমাবেশে।
এএ