প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অত্যাচার নির্যাতন করে আওয়ামী লীগকে কখনো নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। কারণ আওয়ামী লীগের শিকড় জনগণের অনেক গভীরে।’
রোববার (১৯ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা কখনোই দেশ বা মানুষের উন্নয়ন চায়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হতে থাকে। আমারা পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিয়া ক্ষমতায় এসে এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে থাকে। স্বাধীনতার সবস্ত অর্জনই বিসর্জন দেয়। জিয়া ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর অকথ্য নির্যাতন আর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ফাঁসি দিয়ে খুন করে’।
এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়াকে যে জনগণ আন্দোলন করে যে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করেছিল, বিএনপির নেতারা তা হয়ত ভুলেই গেছে। কারণ এদের শিকড় জনগণের মধ্যে নেই। এরা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল বানায়’।
‘অত্যাচার নির্যাতন করে আওয়ামী লীগকে কখনো নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। কারণ আওয়ামী লীগের শিকড় জনগণের অনেক গভীরে’।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির আমলে লুটপাট করে দেশকে ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়েগিয়েছিল বিএনপি। এই বিএনপিই আজ আমাদের করা টেলিভিশন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ব্যবহার করে বলেই যাচ্ছে আমরা নাকি কিছুই করিনি’।
পরে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘একটা ভাঙ্গা সুটকেস আর ছেড়া গেঞ্জি রেখে গেল জিয়া- সেখান থেকে বেগম জিয়ার ছেলেরা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হলো কিভাবে?’
এএ