বৈশ্বিকভাবে ২০২৩-২৪ মৌসুমে শস্য উৎপাদন ১ শতাংশ বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে দি ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইনস কাউন্সিল (আইজিসি)। মূলত ভুট্টার চাহিদা বাড়ায় উৎপাদন বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর ওয়ার্ল্ডগ্রেইন।
১৬ মার্চ গ্রেইন বা শস্যবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইজিসি। এর তথ্যানুযায়ী, চলতি মৌসুমে ২২৮ কোটি ৩০ লাখ টন শস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিবৃতিতে আইজিসি জানায়, উৎপাদন বাড়ার ফলে সামগ্রিক সরবরাহ বাড়বে। কিন্তু ভোগ বাড়ায় শেষ দিকে মজুদ কম থাকতে পারে। এছাড়া বিক্রি, রফতানিসহ মোট বাণিজ্য ১ শতাংশ বেড়ে ৪১ কোটি ১০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। এশিয়ার বাজারে ভুট্টা ও সরগাম (ঘাসের ২৫ প্রজাতির ফুলের একটি) সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা থাকায় এ পরিবর্তন আসবে।
জমির পরিমাণ বাড়ায় ও ফলন হার উচ্চ থাকায় ২০২৩-২৪ মৌসুমে বিশ্বে সয়াবিনের উৎপাদন ২ কোটি ৯০ লাখ টন বেড়ে ৩৯ কোটি ৯০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আইজিসি জানায়, এশিয়ার বড় শস্যগুলোর কারণে ২০২৩-২৪ মৌসুমে শস্য উৎপাদনে নতুন রেকর্ড তৈরি হতে পারে। এছাড়া শস্যের ব্যবহার ও মজুদও বাড়বে বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে। খামারের ফিড, খাদ্য ও শিল্প খাতে সয়াবিনের ব্যবহার বাড়ার ফলে নতুন রেকর্ড তৈরি হবে। এছাড়া এ শস্যের বাণিজ্য ১৭ কোটি ৩০ লাখ টনের নতুন রেকর্ড তৈরি করবে।
সয়াবিনের পর নির্ধারিত মৌসুমে ধানের উৎপাদন ২ শতাংশ বেড়ে ৫২ কোটি ২০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে ভারতের উৎপাদন ও অন্যান্য রফতানিকারককে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। শস্যের উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি খাবারের চাহিদাও বাড়বে বলে আইজিসি সূত্রে জানা গেছে। কাউন্সিলের তথ্যানুযায়ী, আফ্রিকা ও এশিয়ার আমদানিকারকদের চাহিদার কারণে বছরে মোট বাণিজ্য ৩ শতাংশ বাড়বে।
অন্যদিকে ২০২২-২৩ মৌসুমে যেখানে ৮০ কোটি ১০ লাখ টন গম উৎপাদন করা হয়েছিল, ২০২৩-২৪ মৌসুমে তা কমে ৭৮ কোটি ৭০ লাখ টনে নেমে আসবে। একই সময়ে ভুট্টার উৎপাদন ৫ কোটি ২০ লাখ টন বেড়ে ১২০ কোটি ২ লাখ টনে উত্তীর্ণ হবে বলেও প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া আইজিসি ২০২২-২৩ মৌসুমে মোট শস্য উৎপাদনের পূর্বাভাসে পরিবর্তন এনেছে। ফেব্রুয়ারির তুলনায় উৎপাদন ২০ লাখ টন বাড়িয়েছে। সামগ্রিকভাবে বর্তমানে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২২৫ কোটি টন নির্ধারণ করা হয়েছে। বছরওয়ারি হিসাবে যা ২ শতাংশ কম এবং ২০১৭-১৮ মৌসুমের পর প্রথম অবনমন। মূলত ভুট্টার উৎপাদন কম হওয়ায় এ প্রভাব পড়েছে।
এনজে