আবারও ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজন। এবার ছাঁটাই করা হবে আরও নয় হাজার কর্মী। মূলত খরচ কমানোর লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে, গত জানুয়ারিতে ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে প্রতিষ্ঠানটি।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমাজন জানায়, মূলত ক্লাউড কম্পিউটিং ও বিজ্ঞাপনী বিভাগের মতো জায়গাগুলোতে কর্মী ছাঁটাই করা হবে। তবে এর প্রভাব ঠিক কোন দেশগুলোয় পড়বে, তা এখনো জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী দেড় লাখের বেশি কর্মী রয়েছে আমাজনে।
আমাজনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জ্যাসি বলেন, ‘কঠিন হলেও দীর্ঘ মেয়াদে এই সিদ্ধান্ত দীর্ঘ মেয়াদে কোম্পানির জন্য সুফল বয়ে আনবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাজনের ব্যবসার বেশির ভাগ জায়গাতেই বিভিন্ন নতুন পদ যুক্ত হয়েছে।’
করোনা মহামারির সময় অনলাইন শপিংয়ের প্রতি মানুষ পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় আমাজনের রেকর্ড পরিমাণ আয় হয়। করোনা বিধিনিষেধের পর থেকে মানুষ আবার অফলাইন শপিংয়ে অভ্যস্ত হওয়ায় প্রবৃদ্ধি কমে যায় আমাজনের। পণ্যের বিক্রি কমে যাওয়া, ঊর্ধ্বমুখী মূল্য এবং সুদের হার বৃদ্ধির ফলে আমাজনের শেয়ারে দরপতন ঘটে প্রায় ৫০ শতাংশ।
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নিজেদের খরচ কমিয়ে ভারসাম্য আনতে নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে। বিগত সপ্তাহে নিজেদের ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা।
জ্যাসি বলেন, ‘নিজেদের কর্মী হারানো কখনোই সহজ বিষয় নয়। যারা শেষ পর্যন্ত চাকরি হারাবেন, কোম্পানি ও গ্রাহকদের পক্ষ থেকে তাদের কাজের জন্য তাদের আমি ধন্যবাদ দিতে চাই।’
এর আগে, গত জানুয়ারিতে ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে আমাজন। গত নভেম্বরে বড়সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল আমাজন। তখন জানা গিয়েছিল, কোম্পানির করপোরেট ও প্রযুক্তি বিভাগে কাজ করা প্রায় ১০ হাজার কর্মী চাকরি হারাতে পারেন। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন বছরের শুরুতেই ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই নিশ্চিত করে আমাজন।
ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে আমাজন নতুন কর্মী নিয়োগ স্থগিত করে। বেশ কিছু ওয়্যারহাউসের সম্প্রসারণকাজও বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া, ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহৃত রোবট প্রকল্প বাতিলসহ ব্যবসার কিছু অংশ বন্ধেরও পদক্ষেপ নেয় আমাজন।
এএ