মালয়েশিয়া থেকে দুপুর সাড়ে বারোটায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরই শুল্ক গোয়েন্দাদের নজরে পড়েন ৩২ বছর বয়সী খুলনার যুবক নূর আলম।
কর্মকর্তারা চ্যালেঞ্জ করে বলেন, তার পেটে ‘রাষ্ট্রীয় সম্পদ’ লুকানো আছে। কিন্তু তিনি প্রথমেই বিষয়টিকে অস্বীকার করলেন।কর্মকর্তারা পাসপোর্ট পরীক্ষা করে দেখেন গত পাঁচ মাসে তিনি ছয়বার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন।
নূর আলমকে একটানা কয়েক গ্লাস পানি খাওয়ানো হলো। এরপর কাস্টমস হলে দীর্ঘক্ষণ হাঁটানো হলো। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা এভাবে চেষ্টা হলো পেটের ভেতর থেকে ‘রাষ্ট্রীয় সম্পদ’ বের করে আনার। এরপর আরো চার গ্লাসপানি পান করানো হলো নূর আলমকে। তারপর তাকে টয়লেটে নেয়া হয়।
কিছুক্ষণ পরে নূর আলম নিজেই বের হয়ে এসে ৬০০ গ্রামের ৬টি সোনার বার টেবিলে রেখে বললেন , “এই নিন আপনাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ।” ততক্ষণে ঘর্মাক্ত নূর আলম শুয়ে পড়লেন। এরপর তাকে জুস এবং দুধ খাইয়ে সুস্থ করা হলো।
কর্মকর্তারা অবশ্য আগেই সতর্ক করে বলেছিলেন, যদি ‘সনাতন পদ্ধতিতে’ কাজ না হয় তাহলে অপারেশন করা হবে। কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগের ফেসবুক পাতায় এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
বলা হচ্ছে, ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে নিজের পায়ুপথে বিশেষ কায়দায় এই স্বর্ণ লুকিয়ে রেখেছিলেন নূর আলম। তার কাছ থেকে মোট ত্রিশ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগ।
সানবিডি/ঢাকা/আহো