কমেছে ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০৩-২৫ ০৯:১১:৫৫
চলতি সপ্তাহে চাহিদা কমে যাওয়ায় কমেছে ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য। অস্থিতিশীল দামের কারণে ক্রেতারা চালের দাম আরো কমার অপেক্ষা করছেন। ফলে কমে গেছে চাহিদা। একই সময়ে আকর্ষণীয় মূল্য ও সরবরাহের জেরে বাড়তে পারে ভিয়েতনামের রফতানি সূচক। এমনটাই মনে করছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা। খবর রয়টার্স।
চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ ভারতীয় ভাঙা চালের প্রতি টনের দাম ছিল ৩৮০-৩৮৫ ডলার, যা জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন। এক সপ্তাহ আগেও এ দাম ছিল প্রতি টনে ৩৮২-৩৮৭ ডলার। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাড়ার এক চাল রফতানিকারী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘গত এক মাসে প্রতি টনে ২০ ডলারের মতো দাম কমেছে। কয়েক দিনেও কমেছে সব ধরনের খামারি পণ্যের দাম। ফলে ক্রেতারা এখন চালের দাম আরো কমার অপেক্ষায়।’
অন্যদিকে ভিয়েতনামে ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম অপরিবর্তিত। চলতি সপ্তাহে প্রতি টন চাল বিক্রি হয়েছে ৪৫০ ডলারে। মার্চের শেষ দিকেই বাজারে উঠতে যাচ্ছে শীতকালীন ফসল। সেদিকে ইঙ্গিত করে মেকং ডেলটা প্রদেশের এক ব্যবসায়ী রয়টার্সকে জানান, বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড আগামী মাসগুলোয় আরো বাড়বে। চীন ও ফিলিপাইনের মতো নিয়মিত ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ার কারণে বেড়ে যাবে চলতি মৌসুমের সরবরাহ। ভিয়েতনামে চালের দাম এখনো থাইল্যান্ডের চালের দামের চেয়ে কম। ফলে বিদেশী আমদানিকারকরা অধিক লাভের জন্য ভিয়েতনামের চালের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
সম্প্রতি থাইল্যান্ডের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম বেড়ে প্রতি টনে ৪৬৫ ডলারে দাঁড়িয়ে। অথচ গত সপ্তাহেও দাম ছিল প্রতি টনে ৪৫৫ ডলার। ব্যাংককের এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, দামের এ পরিবর্তন ঘটেছে থাইল্যান্ডের মুদ্রা বাথের বৃদ্ধির কারণে। শক্তিশালী দেশীয় মুদ্রা ওই দেশ থেকে ডলারে রফতানিকে ব্যয়বহুল করে। তবে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশা করছেন, দাম যথাযথ অবস্থানে দাঁড়াবে। কারণ চাহিদা মোটামুটি ভালো ও সরবরাহ বাড়ছে। যদি সরবরাহ বাড়ানো যায়, তাহলে দামও নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা যাবে।
এদিকে ২০২৩-২৪ বিপণন মৌসুমে থাইল্যান্ডে চাল উৎপাদন পাঁচ বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও আকর্ষণীয় মিলগেট দামের কারণে উৎপাদন নিয়ে এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইউএসডির প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, থাইল্যান্ডে গত মৌসুমে ২ কোটি ২ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়েছিল। চলতি মৌসুমে তা বেড়ে দাঁড়াবে ২ কোটি ৪ লাখ টনে। অর্থাৎ গত মৌসুমের চেয়ে উৎপাদন বাড়বে ১ শতাংশ।
এনজে