দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে চাহিদার তুলনায় আমদানি কমায় সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানীকৃত ছোলার দাম বেড়েছে। আগে প্রতি কেজি ছোলা ৭২-৭৩ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৭-৮ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পাইকারসহ নিম্নআয়ের মানুষ।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জাহাজের মাধ্যমে ছোলা আমদানি হতো। মুষ্টিমেয় বড় কিছু আমদানিকারক এ কাজ করত। কিন্তু ডলার সংকটে বড় বড় এলসি দেয়া বন্ধ। ফলে ওইসব দেশ থেকে ছোলা আমদানি হচ্ছে না। তবে রমজানকে ঘিরে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ছোলাসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের এলসিগুলো সব ব্যাংকই দিচ্ছে। আমদানিকারকরা ভারত থেকে ছোলা আমদানির জন্য এলসি খুলছেন। ছোলা দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘রমজান মাসকে ঘিরে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ছোলা আমদানি খানিকটা বেড়ে গিয়েছিল। তবে রমজান শুরুর আগে যেভাবে বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছিল সে তুলনায় এখন কম। আগে বন্দর দিয়ে ১০-১৫ ট্রাক ছোলা আমদানি হলেও বর্তমানে তা কমে তিন-পাঁচ ট্রাকে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘গত সোমবার বন্দর দিয়ে ১৫টি ট্রাকে ৬৫৫ টন ছোলা আমদানি হয়েছে। আমদানীকৃত এসব ছোলা যেন দ্রুত দেশে বাজারজাত করতে পারেন, এজন্য কাস্টমসের পরীক্ষণ শুল্কায়ন শেষে দ্রুত ছাড়করণ নেয়ার সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফেব্রুয়ারিতে ২১৮টি ট্রাকে ৮ হাজার ৮০ টন ছোলা আমদানি হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ১৮ কর্মদিবসে ১৯০টি ট্রাকে ৭ হাজার ১৯০ টন ছোলা আমদানি হয়েছে।’
এনজে