ভারতে ১০-২০ লাখ টন গম উৎপাদন কমার সম্ভাবনা
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০৪-০২ ০৯:১০:৪৫
ভারতে চলতি মৌসুমে কমতে যাচ্ছে গমের উৎপাদন। অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ও শিলাবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশ। প্রধান গম উৎপাদনকারী প্রদেশে রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, পাঞ্জাব ও বিহারও ভারি বর্ষণ ও শিলাবৃষ্টির মুখোমুখি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ফলে আরো ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে উৎপাদনে। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে, দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়। খবর প্ল্যাটস।
দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে (এপ্রিল-মার্চ) গমের উৎপাদন ১০ লাখ থেকে ২০ লাখ টন কমে যেতে পারে। মৌসুমের আগে উৎপাদনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল ১১ কোটি ২২ লাখ টন।
এ বিষয়ে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের জরিপ অনুযায়ী, ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশটিতে গম উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ১০ কোটি ৭০ লাখ থেকে ১০ কোটি ৮০ লাখ টনের মধ্যে। অনেকে অবশ্য উৎপাদনের পরিমাণ আরো কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
সর্বনিম্ন প্রাক্কলিত উৎপাদন ৯ কোটি ২০ লাখ টন থেকে ৯ কোটি ৫০ লাখ টন। যা ২০২১-২২ মৌসুমের উৎপাদনের কাছাকাছি। কৃষি আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এ পর্যায়ে ভারি বর্ষণ ও ঝড় প্লাবিত হয়ে যাবে ফসলের মাঠ। ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাকা ফসল। ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা নিশ্চিত নয়। যে অঞ্চলে ফসল তোলার মৌসুম দেরিতে, সেখানকার সহায়তায় কিছুটা ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। বিশেষ করে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের গম এখনো পরিণত হয়নি। এক্ষেত্রে ফসল তোলার সময় এপ্রিল।’
মাঠ থেকে তোলার পর খোলা জায়গায় সংগ্রহ করে রাখা গমও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজস্থানের কৃষি বিভাগ। মধ্য প্রদেশ ও রাজস্থানের কিছু অঞ্চলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ফসল তোলার সময় বেশ আগে। সেগুলো অক্টোবর-নভেম্বরে বিপণন করা হয়। ফসল উত্তোলন হয় মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে।
অন্যদিকে ২০২২-২৩ মৌসুমে উৎপাদিত গম থেকে সরকার ৩ কোটি ৪২ লাখ টন কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে। ক্রয় সহজ করার জন্য শর্ত শিথিল করা হবে। ভারতের ফুড করপোরেশন সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ আর্দ্রতাসহ গম কিনবে। সরকার ১৪ শতাংশ আর্দ্রতাসহ গম ক্রয় করবে। ২০২২ সালের অক্টোবরে সরকার প্রতি টন ২১ হাজার ২৫০ রুপিতে ক্রয় করেছে। তার আগের মৌসুমে কিনেছিল ২০ হাজার ১৫০ রুপিতে। এদিকে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বন্ধ রাখা হয়েছে রফতানি।
এনজে